দু'বছরের কোর্সের চারটি সেমিস্টারে নেওয়া হয় পরীক্ষা। আর সেই পরীক্ষাকে কেন্দ্র করেই নজিরবিহীন বদল আনছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। ডি.এল.এড-এর পরীক্ষা এবার ডি.এল.এড কলেজগুলিতে না নেওয়ার পথেই হাঁটছে পর্ষদ। তার বদলে রাজ্যের স্কুল ও সরকারি কলেজগুলিতে এই পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পর্ষদ।
আরও পড়ুন: ইন্ডিয়ান ওভারসিজ ব্যাঙ্কে IT অফিসার নিয়োগ, দারুণ সুযোগটি জানুন
advertisement
নভেম্বরের শেষ সপ্তাহ থেকেই ডি.এল.এড-এর ফাইনাল সেমিস্টারের পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। সেই সময় থেকে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। পর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল জানিয়েছেন "দীর্ঘদিন ধরে ডি.এল.এড-এর পরীক্ষা নিয়ে একাধিক অভিযোগ আসছে। তার জন্যই আমরা স্কুল-সরকারি কলেজে পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তবে তাদের পঠন-পাঠন যাতে বিঘ্নিত না হয় সেই ভেবেই যাবতীয় প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।"
আরও পড়ুন: ব্যাঙ্কে চাকরির স্বপ্নপূরণ করতে চান? প্রবেশনারি অফিসার নিয়োগ হচ্ছে, জানুন
রাজ্যের ৬০০টির ও বেশি ডি.এল.এড কলেজ রয়েছে। প্রায় ৪৫ হাজার ছাত্রছাত্রী প্রতি সেমিস্টারে পরীক্ষা দেন। নভেম্বরের শেষ সপ্তাহে যে ফাইনাল সেমিস্টার হওয়ার কথা হয়েছে সেখানে ছাত্রছাত্রীদের সংখ্যা প্রায় ৪৫ হাজার। পর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল জানিয়েছেন, "শুধু ফাইনাল সেমিস্টার নয় আমরা এবার থেকে এই পরীক্ষা স্কুল-কলেজেই নেব। পরীক্ষা নেওয়ার জন্য যে পদ্ধতি মেনে চলা হয় সেই পদ্ধতি মেনেই আমরা পরীক্ষা নেব। ইনভিজিলেটর থেকে শুরু করে যে স্কুল-কলেজে পরীক্ষা হবে সেই স্কুল-কলেজের শিক্ষক-অধ্যাপকরাই নজরদারির দায়িত্বে থাকবেন। তবে আমরা এবছর কিছু ডি.এল.এড কলেজকে রাখছি পরীক্ষা নেওয়ার জন্য।"
আর তা থেকেই প্রশ্ন উঠেছে কেন তড়িঘড়ি ডি.এল.এড কলেজগুলি তে এই প্রশিক্ষণের পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত বদল করল পর্ষদ? দাবি, নিয়ম মেনে ডি.এল.এড কলেজগুলিতে পরীক্ষা নেওয়া হত না। ছাত্রছাত্রীদের উপস্থিতি থেকে শুরু করে প্রশ্নপত্র গোপনীয়তা একাধিক ক্ষেত্রেই নিয়ম মানা হয়নি। পরীক্ষা নিয়েও একাধিক অভিযোগ এসেছে পর্ষদে। তার জন্যই পর্ষদের তরফে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল জানিয়েছেন, "আমরা চাই এই পরীক্ষায় আরও স্বচ্ছতা আসুক। আগামী দিনে আমরা এই পরীক্ষাতে আরও পরিবর্তন আনব।"
