সেক্ষেত্রে ডিসেম্বর মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ বা তৃতীয় সপ্তাহে নেওয়া হতে পারে প্রাথমিকের টেট। তবে এখনও পর্যন্ত প্রাথমিকের টেট নেওয়ার জন্য ১০ ডিসেম্বর দিন নিয়ে সব থেকে বেশি আলোচনা হচ্ছে বলেই পর্ষদ সূত্রে খবর। গত বছরও ডিসেম্বরে নেওয়া হয়েছিল টেট পরীক্ষা। ফল প্রকাশ করেছিল পর্ষদ চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে। তবে তার আগে থেকেই নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করলেও এখনও পর্যন্ত সেই প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করতে পারেনি পর্ষদ।
advertisement
আরও পড়ুন: এটা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ক্লাস না রেলগাড়ি? কী কাণ্ড জানলে চমকে যাবেন!
যদিও নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে পর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল জানিয়েছেন, আদালত নির্দেশ দিলেই নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করা হবে। তাই এবার টিচার এলিজিবিলিটি টেস্ট বা টেট নিয়ে তৎপরতা শুরু করে দিল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। সে ক্ষেত্রে ডিসেম্বর মাসে প্রাথমিকের টেট নিতে গেলে শীঘ্রই পর্ষদকে বিজ্ঞাপন দিতে হবে। সূত্রের খবর, সেই বিষয়ে ইতিমধ্যেই প্রস্তুতি ও শুরু করে দিয়েছে পর্ষদ।
আরও পড়ুন: দারুণ খবর! আয়ু বাড়ল চন্দ্রযান ৩-এর, প্রোপালশন মডিউলে বেঁচে গিয়েছে ১৫০ কেজি জ্বালানি
স্কুল শিক্ষা দফতর থেকে সবুজ সংকেত এলেই বিজ্ঞাপন প্রকাশ করে দেবে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। এবারেও প্রাথমিকের টেটকে কেন্দ্র করে একাধিক নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে চায় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। পরীক্ষা কেন্দ্রগুলিতে সিসিটিভি নজরদারি পাশাপাশি বায়োমেট্রিক সহ একাধিক পদক্ষেপের পথে এবারও হাঁটবে পর্ষদ বলেই সূত্রের খবর। যদিও সেই বিষয় নিয়ে এখনো আলাপ আলোচনা চালাচ্ছে পর্ষদের আধিকারিকরা।
তবে এখনও এই বিষয় নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না হলেও শীঘ্রই গোটা বিষয়টি রূপরেখা পেয়ে যাবে বলেও পর্ষদ সূত্রে খবর। প্রসঙ্গত, এনসিটিই গাইডলাইন আছে অন্তত প্রত্যেক বছর একবার করে প্রাথমিকের টেট নেওয়ার জন্য। যদিও দায়িত্ব নেওয়ার পর পর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল জানিয়েছিলেন, বছরে দু’বার করে প্রাথমিকের টেট তিনি নেবেন। গত বছর ডিসেম্বরে টেট নেওয়ার পর রেকর্ড সময়ে ফল প্রকাশ করেছিল পর্ষদ। তাই এবারেও ডিসেম্বর এই টেট নিতে চায় পর্ষদ বলেই সূত্রের খবর। যদিও এই বিষয় নিয়ে পর্ষদ সভাপতি গৌতম পালের কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
সোমরাজ বন্দ্যোপাধ্যায়