সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, ঈশিতার বাবা বায়ুসেনার অফিসার। আর মা বেসরকারি স্কুলে শিক্ষকতা করতেন। ঈশিতার ভাই আইনজীবী। এহেন সুপ্রতিষ্ঠিত পরিবারের সন্তান ঈশিতা বরাবরই মেধাবী ছাত্রী ছিলেন। কারণ দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের শ্রীরাম কলেজ অব কমার্স (এসআরসিসি)-এ অর্থনীতি বিষয় নিয়ে পড়াশোনা করেছিলেন বছর ছাব্বিশের ওই তরুণী। ওই কলেজে অর্থনীতি বিষয় নিয়ে পড়ার সুযোগ পাওয়া কিন্তু মুখের কথা নয়! ২০১৭ সালে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেছিলেন ঈশিতা। এর পর রিস্ক অ্যানালিস্ট হিসেবে কাজে যোগ দেন। তবে ২ বছর পরে চাকরি ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন। ২০১৯ সালে কর্পোরেট চাকরি ছেড়ে ইউপিএসসি সিভিল সার্ভিসেস পরীক্ষায় বসার প্রস্তুতি নিতে শুরু করেন।
advertisement
এত দিনের কঠোর পরিশ্রমের ফল পেয়েছেন। অবশেষে ওই পরীক্ষায় প্রথম স্থান অধিকার করে দেশের মুখ উজ্জ্বল করলেন তিনি। আর এমন সাফল্যে যারপরনাই উচ্ছ্বসিত ঈশিতা। তিনি বলেন, “প্রথম স্থান অধিকার করে আমি খুবই আনন্দিত। এটা আমার কাছে যেন একটা স্বপ্ন সত্যি হওয়া!” সেই সঙ্গে আরও জানান, “যেহেতু আমি শ্রীরাম কলেজ অব কমার্সের ছাত্রী, তাই প্লেসমেন্টের প্রচুর সুযোগ আমার সামনে ছিল। কিন্তু আমার মনে হয়েছিল যে, পরবর্তী তিন থেকে চার দশক আমি কী ধরনের চাকরি করছি, সেই সিদ্ধান্ত নেওয়াটা সবথেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।”
আরও পড়ুন : নেপথ্যে বঙ্গসন্তান, বিদেশি পর্যটকদের দত্তক নেওয়া পথকুকুর বারাণসী থেকে যাচ্ছে ইতালি ও নেদারল্যান্ডসে
শুধু পড়াশোনাতেই নয়, খেলাধুলোতেও যথেষ্ট পারদর্শী ঈশিতা। তিনি এক জন জাতীয় স্তরের ফুটবলার। সেই সঙ্গে নারী ক্ষমতায়ন এবং অবহেলিত মানুষের জন্য কাজ করে যেতে চান তিনি। ওই তরুণীর কথায়, “কর্পোরেট সেক্টর আমায় একরাশ সুযোগ-সুবিধা দিয়েছে। আমি সেখান থেকে পেশাদারিত্ব-সহ আরও নানা বিষয়ে শিখতে পেরেছি। আর এগুলি আমায় সিভিল সার্ভিসের প্রস্তুতিতেও সাহায্য করেছে। তবে সব শেষে বুঝেছি যে, আমার প্যাশনটা সম্পূর্ণ রূপে ছিল পাবলিক সার্ভিসের প্রতিই। আমি পরিচালনা-নিয়ন্ত্রণ এবং উন্নয়নের কাজে নিজেকে ন্যস্ত করতে চাই।”