গণিতে দুর্দান্ত: অরবিন্দ কুমারকে গণিতে রাঁচির সবচেয়ে বড় বিশেষজ্ঞ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। তিনি বই না দেখেই ৯০% প্রশ্নের সমাধান করেন। তাঁর কাছে পড়া অনেকেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা এবং অন্যান্য অনেক দেশে রয়েছেন এবং বিভিন্ন কলেজে পড়াশোনা করছে। লোকাল 18-এর সঙ্গে কথোপকথনের সময়ে তিনি জানান যে, এই জায়গায় পৌঁছনো তাঁর পক্ষে সহজ ছিল না। দরিদ্র পরিবার থেকে আসায় তাঁর স্বপ্নপূরণ একটি বড় চ্যালেঞ্জ ছিল।
advertisement
জুতো কেনার জন্য কোনও টাকা ছিল না: অরবিন্দ কুমার জানান যে, এক সময়ে তাঁর কাছে জুতো কেনার জন্যও টাকা ছিল না, তবে তিনি দারিদ্র্যকে ইতিবাচকভাবে নিয়েছিলেন। কোনও অভিযোগ ছাড়াই তিনি পড়াশোনা চালিয়ে যান। তিনি ইউপির একটি ছোট গ্রামে জন্মগ্রহণ করেছিলেন এবং তাঁর বাবা একজন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ছিলেন। তাই ছোটবেলা থেকেই শিক্ষকতার প্রতি তাঁর ঝোঁক ছিল।
অরবিন্দ জানান, তিনি UPSC-তে দুবার ইন্টারভিউতে পৌঁছেছিলেন, কিন্তু সাফল্য পাননি। এরপর তিনি ১৩ বছর ধরে বিমান বাহিনীতে শিক্ষক হিসেবে কাজ করেন। তিনি শিক্ষকতা উপভোগ করতেন, তাই তিনি এটিকে পেশা হিসেবে বেছে নেন এবং রাঁচির লালপুরে মিশ্র ইনস্টিটিউট শুরু করেন। এখন তিনি ৩০ বছর ধরে শিক্ষার্থীদের পড়াচ্ছেন।
অরবিন্দ জানান, আগে তাঁর ইনস্টিটিউট ছোট ছিল, কিন্তু ধীরে ধীরে শিক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়তে থাকে। তারা তাঁর শিক্ষাদানের পদ্ধতি পছন্দ করতে শুরু করে। অরবিন্দ গণিতে বিশেষজ্ঞ এবং প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় গণিত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সেই জন্য়ই তাঁর ইনস্টিটিউটর ঝাড়খণ্ডের সবচেয়ে বড় কোচিং সেন্টারে পরিণত হয়েছে, যেখানে প্রতিটি প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার প্রস্তুতি দেওয়া হয়।
অরবিন্দ বলেন, তিনি এত বেশি পড়াশোনা এবং অঙ্ক অনুশীলন করেছেন যে বই মুখস্থ করে ফেলেছেন। তিনি বইয়ের দিকে না তাকিয়েই ৯০% প্রশ্ন মৌখিকভাবে শেখান।অরবিন্দের পড়ানো ছাত্রছাত্রীরা আমেরিকা, কানাডা সহ অনেক দেশের বড় বড় কোম্পানিতে কাজ করছেন। ভারতেও তাঁর ছাত্রছাত্রীরা আইআইটি, এনআইটি এবং এনডিএ-র মতো বড় বড় প্রতিষ্ঠানে সফল। তিনি দরিদ্র শিশুদের বিনামূল্যে কোচিং দেন।