TRENDING:

Success Story: চতুর্থ শ্রেণী পাশ বাবা কাপড়ের ফেরিওয়ালা, অনটনকে হারিয়ে ছেলে আইএএস অফিসার! সর্বভারতীয় মেধাতালিকায় স্থান ৪৫

Last Updated:

Success Story: চমক অপেক্ষা করে ছিল তৃতীয় বারে। ২০২০ সালে ইউপিএসসি পরীক্ষায় ৪৫ তম স্থান অনিলের। সংসারে অনটন-সহ একাধিক প্রতিকূলতা পেরিয়ে সাফল্য আসে তাঁর জীবনে।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
পটনা : বছর দশেক আগে প্রথম বার পরিচিত মহলের সকলকে চমকে দিয়েছিলেন অনিল বসাক। সে বছর তিনি সুযোগ পেয়েছিলেন দিল্লি আইআইটি-তে। কিন্তু এটা ছিল তাঁর সাফল্যের সিঁড়ির সবে সূত্রপাত। তারও বেশ কিছু বছর আগে, যখন তিনি বিহার থেকে দিল্লিতে এসেছিলেন, জানতেনও না একদিন তিনি ইউপিএসসি-র মেধাতালিকার প্রথম ৫০ জনের মধ্যে থাকবেন।
স্বপ্নেও ভাবেননি একদিন আইএএস অফিসার হবেন
স্বপ্নেও ভাবেননি একদিন আইএএস অফিসার হবেন
advertisement

অথচ যাত্রাপথ খুব একটা মসৃণ ছিল না। বিহারের কিষাণগঞ্জের ছেলে অনিল ২০১৮ সালে ইউপিএসসি পরীক্ষার প্রাথমিক পর্বও পার হতে পারেননি। পরীক্ষার ফলাফলে চুরমার হয়ে গিয়েছিল হৃদয়। কিন্তু স্বপ্ন দেখা বন্ধ করেননি। দ্বিতীয় প্রচেষ্টায় ইন্ডিয়ান রেভেনিউ সার্ভিস-এর পরীক্ষায় মেধাতালিকায় তাঁর স্থান ছিল ৬১৬ নম্বরে।

চমক অপেক্ষা করে ছিল তৃতীয় বারে। ২০২০ সালে ইউপিএসসি পরীক্ষায় ৪৫ তম স্থান অনিলের। সংসারে অনটন-সহ একাধিক প্রতিকূলতা পেরিয়ে সাফল্য আসে তাঁর জীবনে। দিল্লি আইআইটি-র এই সিভিল ইঞ্জিনিয়ার বলেন, ‘‘আমি উচ্ছ্বসিত। আমার বাবা মা আনন্দে ভাসছেন। তাঁরাই আমার সাফল্যের কারিগর।’’ বাবার কথা বার বার বলেছেন তিনি। বাবার জন্যই খবরের প্রতি, সাম্প্রতিক ঘটনার দিকে আগ্রহ তৈরি হয় তাঁর। টেলিভিশনে খবর দেখা ও শোনা ছিল বাধ্যতামূলক বাড়িতে। তখন স্বপ্নেও ভাবেননি একদিন আইএএস অফিসার হবেন।

advertisement

আরও পড়ুন : কুঁড়েঘরে শয্যাশায়ী বাবা, মা বাঁধেন বিড়ি, হতদরিদ্র পরিবারের মেধাবী তরুণ IIT হয়ে গবেষণার জন্য এ বার DRDO-তে

চার ভাইয়ের মধ্যে সবথেকে বড় অনিলই। সংসার চালাতে নানারকমের কাজ করতে হয়েছে তাঁর বাবা বিনোদ বসাককে। অনিলের কথায়, ‘‘আমার বাবার পড়াশোনা চতুর্থ শ্রেণী পর্যন্ত। কিন্তু একাধিক ভাষায় কথা বলতে পারেন তিনি। সংসারের অভাব অনটন দূর করতে ফেরিওয়ালা, এক রাজস্থানি পরিবারে পরিচারক-সহ নানা কাজ করেছিন তিনি। তিল তিল করে অর্থ জমিয়ে কিষাণগঞ্জে জামাকাপড়ের একটা ছোট ব্যবসা চালু করেছেন।’’

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
​'শুভ বিজয়া' সন্দেশ স্পেশালে মন মজেছে জনতার! বর্ধমানের মিষ্টির দোকানে ভিড়
আরও দেখুন

অন্যের বাড়িতে ভাড়া থাকার পর নিজেদের কাঁচা বাড়ি থেকে অবশেষে পা রেখেছেন পাকা বাড়িতে। ‘‘বাবাই আমার অনুপ্রেরণা। একা হাতে ব্যবসা চালান। আমাদের জন্য রান্না করেন। বাড়ির কাজ করেন। বাবার উদ্যোগের ১০ শতাংশ পেলেও আমি আরও সফল হতাম।’’ বলছেন আইএএস অফিসার অনিল বসাক। তাঁর বাবা ছেলের জন্য যতটা গর্বিত, তার থেকেও বেশি সন্তান গর্বিত বাবাকে নিয়ে।

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/শিক্ষা/
Success Story: চতুর্থ শ্রেণী পাশ বাবা কাপড়ের ফেরিওয়ালা, অনটনকে হারিয়ে ছেলে আইএএস অফিসার! সর্বভারতীয় মেধাতালিকায় স্থান ৪৫
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল