১. প্রার্থীরা বিজ্ঞান, ইংরেজি, সোশ্যাল সায়েন্স, ম্যাথমেটিক্স বা অন্যান্য যে কোনও বিষয় নিয়ে পড়তে পারেন। তবে সে ক্ষেত্রে বিষয় যা-ই থাকুক না কেন তাতে মাস্টার্স ডিগ্রি থাকা অপরিহার্য। এতে যে কোনও বেসরকারি বা সরকারি প্রতিষ্ঠান, প্রাইভেট কোচিং বা অনলাইনে পড়ানোর সুযোগ রয়েছে। যা বেতনবৃদ্ধির সহায়ক হবে।
২. শিক্ষাক্ষেত্রে যোগদানের পর শিক্ষকতা ছাড়া আরও অনেক পদে কাজ করতে পারে, যেমন অ্যাকাডেমিক রাইটার, স্কুল কাউন্সেলিং এবং কারিকুলাম ডেভলপার। এই সব পদেও উচ্চ বেতনের সুবিধা রয়েছে।
advertisement
৩. এছাড়াও কোনও ইনস্টিটিউটে পড়াতে হলে তাঁদের অবশ্যই কোনও স্বীকৃত প্রতিষ্ঠান থেকে গ্র্যাজুয়েট ডিগ্রি থাকতে হবে।
আরও পড়ুন: জিৎ এইবার বাংলাদেশের সিনেমায়! অ্যাকশনে বুঁদ হবেন ওপার বাংলার দর্শকও
৪. আবার যাঁরা স্কুলে পড়াতে ইচ্ছুক, তাঁদের যে কোনও সরকারি স্কুলে পড়াতে হলে অবশ্যই ব্যাচেলর অফ এডুকেশন (B.Ed) ডিগ্রি থাকতে হবে। বর্তমানে সরকারি কলেজ থেকে বিএড করলে বার্ষিক খরচ হয় ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা। তবে প্রাইভেট থেকে করলে প্রার্থীদের ৭০ থেকে ৯০ হাজার টাকা দিতে হবে।
আরও পড়ুন: বড় চমক TRP-তে! ফের শীর্ষে 'মিঠাই', মধুচন্দ্রিমায় গিয়ে 'গাঁটছড়া'-ও কিন্তু জোড় টক্কর দিল দৌড়ে
৫. শিক্ষাক্ষেত্রের নিরিখে গত চার দশক ধরে ভারত সাফল্যের উচ্চ শিখরে পৌঁছেছে। অনেক মানুষই এখন ব্যাপক হারে শিক্ষাক্ষেত্রে দিকে ঝুঁকেছেন। শিক্ষার্থীর সংখ্যাও বিগত বছরের তুলনায় অনেক বেশি। এর সবচেয়ে বড় প্রমাণ ভারতের সাক্ষরতার হার যা ১৯৯০ সালে ছিল মাত্র ৩৯ শতাংশ, তা বর্তমানে ৭৪.০৪ শতাংশে এসে পৌঁছেছে। হিসেব বলছে, ভারতে একজন শিক্ষক গড়ে মাসে প্রায় ২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারেন। তবে আনন্দের বিষয় গত এক দশকে শিক্ষকদের আয় বেড়েছে অনেকটাই। অনেক শিক্ষকই এখন অনলাইনে পাঠদান শুরু করেছেন। এতে ক্লাসরুমের খরচ বাঁচিয়ে আয়ের পরিমাণ প্রায় একই থাকে। এমন পরিস্থিতিতে দেশে শিক্ষক হিসেবে ভাল চাকরির সুযোগ রয়েছে। অবশ্যই যাঁরা শিক্ষার্থীদের ভাল পড়াতে পারেন তাঁদের জন্য এটি সুবর্ণ সুযোগ।