নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, পঞ্চম থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত ছাত্রছাত্রীদের বই পড়ার অভ্যাস তৈরি করতে হবে। এর জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে হবে স্কুলের প্রধান শিক্ষক, ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক, স্কুলের শিক্ষক ও শিক্ষিকাদের। এর জন্য কয়েক দফা গাইডলাইনও দিয়েছে রাজ্য স্কুল শিক্ষা দফতর। গাইডলাইনে বলা হয়েছে,
১) পাঠ্যক্রমের বাইরে গিয়ে স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের পঞ্চম থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত বই পড়ার অভ্যাস তৈরি করতে হবে
advertisement
২) পঞ্চম থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত ছাত্রছাত্রীদের প্রতি মাসে অন্তত তিনটি করে বই পড়ার অভ্যাস তৈরি করতে হবে
৩) স্কুলের মধ্যে যে সমস্ত ছাত্রছাত্রীরা প্রতি মাসে সবথেকে বেশি সংখ্যক বই পড়বে, তাদের নাম স্কুলের একটি নির্দিষ্ট জায়গায় বা নোটিশ বোর্ডে টাঙানো হবে।
আরও পড়ুন: ‘বিমান তখন ফুল স্পিডে, হঠাৎই দেখা গেল আগুনের শিখা...’’ ভয়াবহ অভিজ্ঞতা জানালেন ইন্ডিগোর যাত্রী
আরও পড়ুন: রাঁচিতে হাড় হিম করা ঘটনা, ১৩ বছরের ভাইকে গুলি করে হত্যা দাদার
৪) যে বইগুলি ছাত্রছাত্রীরা পড়বেন সেই বইগুলি সম্পর্কে আলোচনা করার অনুমতি দিতে হবে। ছাত্র ছাত্রীদের পুরস্কৃত করতে হবে স্কুল কর্তৃপক্ষদের।
৫) স্কুল লাইব্রেরিগুলিতে উন্নত মানের বই রাখতে হবে সমস্ত স্তরের। লাইব্রেরীগুলি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।
৬) স্কুলের প্রধান শিক্ষক, ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক, শিক্ষক শিক্ষিকাদের নতুন কিছু পদক্ষেপ নিতে হবে যাতে স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে বই পড়ার অভ্যাস তৈরি হয়।
৭) নিচু ক্লাসে ছাত্রছাত্রীদের উৎসাহ দিতে হবে, স্কুলের লাইব্রেরী, কম্পিউটার ল্যাবরেটরি পরিদর্শনের জন্য।
এগুলো পড়ুয়াদের মধ্যে উৎসাহ দেবে পরবর্তী ক্লাসে যাওয়ার জন্য। ইতিমধ্যেই রাজ্য স্কুল শিক্ষা দপ্তর ছাত্রছাত্রীদের জন্য একাধিক পরিকল্পনা নিয়েছে। গ্রাজুয়েশন সেরিমনি থেকে শুরু করে শিশু সংসদ স্কুলে নেওয়া হচ্ছে একাধিক পরিকল্পনা। তারই মধ্যে এবার ছাত্র ছাত্রীদের মধ্যে বই পড়ার অভ্যাস ও তৈরি করতে চায় রাজ্য।
সোমরাজ বন্দ্যোপাধ্যায়