ক্ষমতা বিকেন্দ্রীকরণ করা হল। সমস্যা সমাধানে দায়িত্ব দেওয়া হল প্রাথমিক ও মধ্যশিক্ষা পর্ষদকে। যা আগে ছিল দফতরের হাতে। আবেদন করেও জেলা পরিবর্তন থেকে পার্টনার অনুমোদন পাঠানোর পরও তা গ্রহণ না করলেও, সেক্ষেত্র বিশেষ ছাড় দেওয়ার সিদ্ধান্ত শিক্ষা দফতরের। কেউ একটি জেলায় জন্য পারস্পরিক বদলির আবেদন করল। পরবর্তী সময় দেখা যাচ্ছে সেই জেলায় কোনও পার্টনার পাওয়া যাচ্ছে না। পারস্পারিক বদলির জন্য।
advertisement
আরও পড়ুন: হাতে সময় ৩ ঘণ্টা, ঝড়-বৃষ্টিতে তোলপাড় হবে বাংলার ৩ জেলা! বাজের সতর্কতা জারি আবহাওয়া দফতরের
এই ধরনের সমস্যায় পড়লে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের পোর্টাল পুনরায় সচল করবে প্রাথমিক বা মধ্যশিক্ষা পর্ষদের ডি-আইরা। এতদিন পর্যন্ত তা দীর্ঘ সময় ধরে আটকে পড়ে থাকত। কোনও শিক্ষক বা শিক্ষিকা জেলা এবং পারস্পরিক বদলি র জন্য পার্টনার পেয়ে গেল। কিন্তু কোনও এক পার্টনার উৎসশ্রী পোর্টালের মাধ্যমে তা গ্রহণও করল না বা রিজেক্টও করেনি। দীর্ঘদিন ধরে বিষয়টি একই জায়গায় পড়ে রয়েছে। সে ক্ষেত্রে ডি-আইরা এই ধরনের প্রোফাইল আনলক করে দেবে। যাতে আবেদনকারী কোনও অসুবিধা না হয়।
কোনও কারণে জেলা পরিদর্শক এই কাজটি না করলে, পর্ষদের তরফ থেকে পোর্টাল আনলক করার কাজটি করা হবে। দু’জন আবেদনকারী পারস্পরিক বদলির ক্ষেত্রে সমস্ত কিছু সম্পন্ন করে ফেলেছে উৎসশ্রী পোর্টালের মাধ্যমে। কিন্তু অনুমোদন পত্র দিন আটকে রয়েছে দীর্ঘদিন ধরে। এখানে তা দ্রুত সমাধানের কথা বলা হয়েছে। এবং এই সমাধানের কাজ করবে প্রাথমিক ও মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। মূলত বহু পুরনো শিক্ষক রয়েছে যারা ২০১৬ সালের শিক্ষকের সঙ্গে পারস্পরিক বদলির আবেদন করেছে। সেক্ষেত্রে সমস্যা না হয়, তাই এই সিদ্ধান্ত শিক্ষা দফতরের।
আরও পড়ুন: NIRF র্যাঙ্কিংয়ে ভারতের সেরার সেরা মেডিক্যাল কলেজ কোনগুলো? তালিকায় বাংলার কোন কলেজ? রইল পুরো তালিকা
মিউচুয়াল ট্রান্সফারের ক্ষেত্রে উৎসশ্রী পোর্টালের মাধ্যমে আবেদন করলে কনফার্মেশন লেটার বাধ্যতামূলক ছিল না। এ বার সেই লেটার দেওয়া বাধ্যতামূলক করল সরকার। এ ছাড়াও কোনও আবেদনকারী জেনারেল ট্রান্সফারের জন্য উৎসশ্রী পোর্টালে আবেদন করেছে। কিন্তু সেই ট্রান্সফার আটকে রয়েছে। সে ক্ষেত্রে সে চাইলে পরে মিউচুয়াল ট্রান্সফারের ক্ষেত্রে আবেদন করতে পারবে। এবং তার জেনারেল ট্রান্সফার বাতিল হয়ে যাবে।
সোমরাজ বন্দ্যোপাধ্যায়