এই বিদ্যালয়ের তিনজন শিক্ষক এবং একজন গ্রুপ ডি কর্মীর চাকরি গিয়েছে। আর এই তিন শিক্ষক এবং একজন গ্রুপ ডি কর্মীর চাকরি বাতিল হওয়ার পর থেকেই অচলাবস্থা শুরু হয়েছে বিদ্যালয়ে।
আরও পড়ুন: ‘আমি ওঁদের চাকরি খেয়েছি’! একের পর একজনকে চাকরি থেকে তাড়িয়ে পরে CEO যা করলেন অবিশ্বাস্য
একদিকে শিক্ষকের অভাবে নিয়মিত ক্লাস নেওয়া, অন্যদিকে গ্রুপ ডি কর্মীর কাজ, সব মিলিয়ে অতিরিক্ত চাপ পড়েছে বাকি শিক্ষকদের উপর। চাকরিহারা গ্রুপ ডি কর্মী রনজিৎ মণ্ডল বলেন, “আমরা সব নিয়মমাফিক স্বচ্ছ ভাবে চাকরি পেয়েছিলাম। তাহলে আমাদের চাকরি গেল কেন? এখন কী করব কিছুই বুঝতে পারছি না, সব শেষ হয়ে গেল।”
advertisement
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তাপসকুমার ভট্টাচার্যের কথায়, ‘উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের পলিটিক্যাল সায়েন্স, সংস্কৃত আর এডুকেশনের মতো তিনটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের শিক্ষক নেই। তাছাড়া এখনও কেউ ভলান্টেয়ারি সার্ভিস দিতে এগিয়ে আসেননি। যতটা সম্ভব বর্তমান শিক্ষক আর পার্ট টাইম টিচারদের দিয়ে পরিস্থিতি সামলানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। এই বিষয়ে সহ-শিক্ষক প্রশান্তকুমার সাহা বলেন, “আমাদেরও খুবই সমস্যা হচ্ছে। আমরাও এভাবে কতদিন চালাতে পারব তা জানি না।”
বর্তমানে একটা গ্রুপ ডি কর্মীর যে সব কাজ যেমন– ঘণ্টা দেওয়া, জলের পাম্প চালানো সবই শিক্ষকদের করতে হচ্ছে। পড়ানোর ফাঁকে ফাঁকে সবরকম কাজ করতে হচ্ছে সকলকেই। তবে এই সংকট শুধু গোপালবেড়া বিদ্যালয়ে নয়, রাজ্যের আরও নানা স্কুলে বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। সকলেই চাইছেন যাতে দ্রুত এই সমস্যার সমাধান হয়।
বনোয়ারীলাল চৌধুরী