প্রসঙ্গত, ১.৬৪ লক্ষ শিক্ষক রয়েছেন বর্তমানে শিক্ষা দফতরের অধীনে। সকলের নথিই ডিজিটাল করার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। বিচারপতির বিশ্বজিত বসুর মন্তব্য, “স্কুলের শিক্ষকদের পড়ানোর বিষয়ে তাঁদের যোগ্যতা কতটা, তা ছাত্র-ছাত্রীদের, অভিভাবকদের জানা উচিত। কারণ অভিযোগ এসেছে বহু শিক্ষক/শিক্ষিকার যোগ্যতা নেই। অথচ তারা স্কুলে নিযুক্ত হয়েছেন। রাজ্যকে সেই জন্য প্রত্যেক শিক্ষক শিক্ষিকার যোগ্যতা কী, সরকারের পোর্টালে তা আপলোড করতে হবে।”
advertisement
আরও পড়ুন: সে কী! সর্বনাশ! আয়ু শেষ ছবির মতো সুন্দর এই দেশের! কিছুদিন পরই হয়ে যাবে ‘ভ্যানিশ’
প্রসঙ্গত, মুর্শিদাবাদের গোথা হাইস্কুলে নিয়োগ কেলেঙ্কারির মামলায় বিচারপতি বসুর নির্দেশ ছিল, ২০১১ থেকে ২০১৬-র মধ্যে রাজ্যজুড়ে যত নিয়োগ হয়েছে, সে-সব খতিয়ে দেখে কোথাও বেআইনি কিছু পেলে তদন্ত করতে হবে সিআইডিকে। আদালত এই তদন্তভার তুলে দিয়েছে গোথা স্কুলে দুর্নীতির তদন্তে গঠিত সিআইডির সিটের হাতেই।
আদালতের নির্দেশ ছিল, কারও বিরুদ্ধে তদন্তে প্রমাণ পাওয়া গেলে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে পারবে সিআইডি। তবে নিয়োগ-দুর্নীতি নিয়ে সিবিআই তদন্তের মধ্যেই সিআইডি’কে আদালত এই তদন্তভার দেওয়ায় অনেকের মনে কৌতূহল তৈরি হয়েছিল। গোথা-মামলায় সিআইডি আদালতে জানিয়েছিল, ছেলে অনিমেষ তিওয়ারিকে অবৈধ পাবে চাকরি পাইয়ে দেওয়াই শুধু নয়, প্রধান শিক্ষক আশিস তিওয়ারি এর আগেও ২০১১ সালে অন্য এক জনের নিয়োগপত্রে নিজের ঘনিষ্ঠ এক জনকে চাকরি দেন। যা শুনে স্তম্ভিত হয়ে উঠেছিল হাইকোর্ট। এবার রাজ্যের সমস্ত শিক্ষকদের নথি ডিজিটাল করতে নির্দেশ দিল আদালত।