সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, চাকরিতে বহাল থাকতে বা পদোন্নতির যোগ্য হতে গেলে টেট (Teacher Eligibility Test) পাশ করা বাধ্যতামূলক। এই নিয়ম প্রযোজ্য হবে তাঁদের ক্ষেত্রেও, যাঁরা টেট চালুর আগেই শিক্ষক হিসেবে নিযুক্ত হয়েছেন।
বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত ও বিচারপতি মনমোহনের বেঞ্চ একাধিক সিভিল মামলার শুনানি করতে গিয়ে এই রায় দেয়। তার মধ্যে ছিল Anjuman Ishat-E-Talim Trust vs State of Maharashtra and Others মামলাও। ২০১১ সালের ২৯ জুলাই ন্যাশনাল কাউন্সিল ফর টিচার এডুকেশন (NCTE) টেট বাধ্যতামূলক করেছিল ১ থেকে ৮ শ্রেণির জন্য শিক্ষক নিয়োগে। প্রশ্ন উঠেছিল— টেট চালুর আগে যারা নিযুক্ত হয়েছেন, তাঁদেরও কি টেট পাশ করতে হবে?
advertisement
বিসর্জনে মত্ত অবস্থায় এ কী করলেন মেয়রের পারিষদ! পদ থেকে সরানো হল শ্রাবণী দত্তকে
সাপ কি মরার পরেও কামড়ায়? প্রকাশ্যে ৩ ভয়ঙ্কর ঘটনা! বিশেষজ্ঞরা জানালেন কী করণীয়
কর্মরত শিক্ষকদের জন্য গাইডলাইন—
- যাঁদের অবসর পেতে ৫ বছরের কম সময় বাকি:
- যাঁদের অবসর পেতে ৫ বছরের বেশি সময় বাকি:
- অবসর সুবিধা প্রসঙ্গে:
তাঁদের টেট পাশ না করলেও চাকরিতে থাকতে পারবেন। তবে টেট পাশ না করলে পদোন্নতির সুযোগ পাবেন না।
তাঁদের আগামী ২ বছরের মধ্যে টেট পাশ করতে হবে। তা না হলে বাধ্যতামূলক অবসর বা চাকরিচ্যুত করা হবে। তবে অবসরকালীন সুবিধা (retirement benefits) দেওয়া হবে।
অবসরকালীন সুবিধা পেতে নির্দিষ্ট সময়ের যোগ্য পরিষেবা থাকতে হবে। যদি তার ঘাটতি থাকে, তবে সংশ্লিষ্ট দফতর নিয়ম মেনে সিদ্ধান্ত নেবে।
প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ
- শিক্ষকদের জন্য নির্দেশ: চাকরির জন্য আবেদন করার আগে টেট পাশ করতে হবে।
- কর্মরত শিক্ষকরা (৫ বছরের বেশি সার্ভিস বাকি): চাকরিতে থাকতে বা পদোন্নতি পেতে হলে টেট পাশ করতে হবে।
- কর্মরত শিক্ষকরা (৫ বছরের কম সার্ভিস বাকি): চাকরিতে থাকতে পারবেন, তবে টেট পাশ না করলে পদোন্নতি মিলবে না।
যদিও এই রাজ্যের শিক্ষকরা বেশিরভাগই টেট পাশ, তাই দুশ্চিন্তার কারণ নেই বলেই জানা গিয়েছে।