বিচারপতির মন্তব্য, দেশে শিক্ষকদের যথাযোগ্য সম্মান দেওয়া হয় না, বরং তাঁদের অবহেলা ও শোষণের শিকার হতে হয়। আদালতের প্রশ্ন, কেউ যদি টানা ২১ বছর কাজ করেন, তবে কেন তাঁকে স্থায়ী করা হবে না?
আরও পড়ুন: শ্রমশ্রী প্রকল্পে এককালীন ও মাসে ৫০০০ টাকা দিচ্ছে রাজ্য সরকার, দু’দিনে কত আবেদন জমা পড়ল?
advertisement
রাজ্য ২০০৪ সালে শিক্ষামিত্র নিয়োগ করলেও ২০১৩ সালে তাঁদের স্বেচ্ছাসেবক ঘোষণা করে এবং ২০১৪ সালে ভাতা বন্ধ করে আগেভাগেই অবসরের সিদ্ধান্ত নেয়। ২০২৩ সালে সেই সিদ্ধান্ত বাতিল করে হাইকোর্ট। ডিভিশন বেঞ্চও এবার সুপ্রিম কোর্টও সেই রায় বহাল রাখল।
আরও পড়ুন: সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ, পুরনো চাকরি ফিরে পাচ্ছেন ৪২০০ চাকরিহারা! ছাড়পত্র শিক্ষা দফতরের
উল্লেখ্য, ২০০৪ সালে সর্বশিক্ষা মিশনের অধীনে শিক্ষা মিত্রদের নিয়োগ করে রাজ্য সরকার। ২০১৩ সালে তাঁদের স্বেচ্ছাসেবক বলে ঘোষণা করে রাজ্যে। কিন্তু ২০১৪ সালে তাঁদের ভাতা বন্ধ করে ৬০ বছরের আগেই অবসর নেওয়ার কথা বলে রাজ্য সরকার। সেই নির্দেশকে চ্য়ালেঞ্জ করে শিক্ষামিত্ররা হাইকোর্টে যান। ২০২৩ সালে রাজ্য সরকারের সেই সিদ্ধান্ত খারিজ করে দেন হাইকোর্টের বিচারপতি রবীন্দ্রনাথ সামন্তের বেঞ্চ। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে যায় রাজ্য সরকার। ২০২৫ সালে সেই রায় বহাল রাখে ডিভিশন বেঞ্চ।
মৈত্রেয়ী ভট্টাচার্য