প্রসঙ্গত, মে মাসের মাঝখান থেকে স্কুলের গরমে ছুটি পড়ে। কিন্তু পড়ুয়াদের নাজেহাল অবস্থার কারণে গরমের ছুটি এগিয়ে আনা হয়েছে। এপ্রিল মাসের শেষে তাপপ্রবাহের কারণে এক সপ্তাহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি বন্ধ ছিল সরকারি নির্দেশে। গত কয়েকদিন আবহাওয়ার উন্নতি হওয়ায় এবং মাঝেমধ্যেই বৃষ্টির দেখা মেলায় স্কুলে তাড়াতাড়ি করে গরমের ছুটি কেন দেওয়া হচ্ছে সরকারেক পক্ষ থেকে, সেই নিয়েই প্রশ্ন তুলেছিল বিভিন্ন শিক্ষক সংগঠন। তবুও সরকার তাদের সিদ্ধান্তে অনড় থাকে।
advertisement
করোনাকালে পড়ুয়াদের পড়াশোনার যথেষ্ট ক্ষতি হয়েছে। এখন একটানা এতদিন ছুটি পড়ুয়াদের আরও ক্ষতি করবে বলে একাংশের মত। তাই, গরমের ছুটির পর স্কুল খুললেই অতিরিক্ত ক্লাস করাতে হবে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের। অর্থাৎ গরমের ছুটির জন্য যে সমস্ত ক্লাসগুলি নষ্ট হয়েছে সেই ক্লাসের ক্ষতিপূরণ মেটাতে হবে স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের। এই মর্মে ইতিমধ্যেই নির্দেশ পাঠিয়েছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ।
পাশাপাশি গরমের ছুটিতে রাজ্যের একাধিক স্কুল অনলাইনে ক্লাস নেওয়ার পথে হাঁটছে। বিশেষত বেসরকারি স্কুলগুলি অনলাইনে ক্লাস নেবে। কলকাতার একাধিক সরকারি স্কুলও অনলাইনে ক্লাস নিতে চলেছে। কিন্তু গ্রামের দিকের স্কুলে পরিকাঠামোর অভাবে তা করা সম্ভব নয়। তাই, স্কুল খোলার পর অতিরিক্ত ক্লাস করাতে হবে। মধ্যশিক্ষা পর্ষদের ছুটির ক্যালেন্ডার অনুযায়ী মে মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে ১১ দিনের জন্য গরমের ছুটি দেওয়া ছিল। এবছর তা অনেকটাই এগিয়ে আনা হল।