এই চূড়ান্ত সাফল্যের পিছনে রয়েছে এক অবিচল মনোযোগ, কঠোর অধ্যবসায় আর অদম্য জেদ। নিলুফা জানিয়েছেন, এর আগেও দু’বার তিনি এই পরীক্ষায় বসেছিলেন, কিন্তু ফল আশানুরূপ হয়নি। অনেকেই হয়তো সেখানেই থেমে যেতেন কিন্তু নিলুফা থামেননি। বরং প্রতিবার ব্যর্থতার পর নিজেকে নতুনভাবে গড়ে তুলেছেন, নিজের ভুলগুলো বিশ্লেষণ করে এগিয়ে গিয়েছেন।
আরও পড়ুন: চাকরিরতদের জন্য বিরাট সুযোগ যাদবপুরে, ইঞ্জিনিয়ারিং পড়া যাবে খুব কম খরচে! আসন সংখ্যা ১৬২
advertisement
ছোট বয়সে স্কুল জীবনের শুরু থেকেই পড়াশোনায় অত্যন্ত মেধাবী ছিলেন নিলুফা। পরবর্তী সময়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর স্তরেও নিলুফা তাঁর মেধার পরিচয় দিয়েছেন। শিক্ষকতাকে পেশা হিসেবে বেছে নেওয়ার আগ্রহ থেকেই নিলুফা UGC NET ও JRF-এর প্রস্তুতি শুরু করেন। চূড়ান্ত সাফল্যও অর্জন করেন।
নিলুফা এখন কাটোয়ার তরুণ-তরুণীদের কাছে অনুপ্রেরণা। কেননা তিনি প্রমাণ করে দিয়েছেন প্রতিভা,পরিশ্রম ও সাহস থাকলে সীমাবদ্ধতা কোনও বাধা হতে পারে না। বাংলাকে গর্বিত করা বঙ্গতনয়াদের সাফল্যের তালিকায় এখন জ্বলজ্বল করছে নিলুফা ইয়াসমিনের নাম।
আরও পড়ুন: NIRF র্যাঙ্কিং অনুসারে ভারতের শীর্ষ ১০ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ কোনগুলো? সামনে এল তালিকা, দেখে নিন
ভবিষ্যতের পরিকল্পনা কী? উত্তরে নিলুফা বলেন, দেশের একজন শিক্ষিকা হিসেবে গবেষণায় অবদান রাখতে চাই। উচ্চশিক্ষার জগতে কিছু অর্থবহ কাজ করতে চাই। ভবিষ্যতে পিএইচ.ডি-তে ভর্তি হয়ে গবেষণার মাধ্যমে সমাজে কিছু ফিরিয়ে দেওয়াই এখন লক্ষ্য। নিলুফার এই কৃতিত্ব কাটোয়া শহরের শিক্ষিত তরুণ-তরুণীদের কাছে এক বড় অনুপ্রেরণা।