এর একটি উদাহরণ আমাদের সামনে দৃশ্যমান, বয়স ছোট কিন্তু গুণ আর স্বপ্ন তার অনেক বড়। মধুবনী জেলার ঝাঁঝড়পুরের বাসিন্দা ৯ বছর বয়সী আদর্শ ভরদ্বাজ দুটি দেশ, অর্থাৎ ভারত এবং নেপাল থেকে ডক্টরেট ডিগ্রি পেয়েছে। এই বিষয়ে জেনে রাখা প্রয়োজন যে, সে ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্র এবং বিহারের প্রথম বাসিন্দা হিসেবে এই সাফল্য অর্জন করেছে।
advertisement
ডক্টরেট ডিগ্রি পেয়েছে, প্রধানমন্ত্রী বাল পুরস্কারের জন্যও মনোনীত হয়েছে। মধুবনী জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আনন্দ শর্মা ফরিদাবাদের ম্যাজিক অ্যান্ড আর্ট ইউনিভার্সিটি কর্তৃক আদর্শ ভরদ্বাজকে ডক্টরেট ডিগ্রিতে ভূষিত করেছেন। আদর্শ ভরদ্বাজ একজন শিশু লেখক এবং প্রধানমন্ত্রী বাল পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছে। তার বয়স মাত্র ৯ বছর কিন্তু তার স্বপ্ন অনেক বড়! ইতিমধ্যেই সাহিত্যজগতে অবদানের জন্য সে অনেককে মুগ্ধ করেছে। আন্তর্জাতিক শিশু আইকন পুরস্কার প্রাপ্ত সর্বকনিষ্ঠ ঔপন্যাসিক আদর্শ ভরদ্বাজকে আনন্দ শর্মা নিজের হাতে ডক্টরেট ডিগ্রি প্রদান করেছেন। আদর্শ ভারত এবং নেপাল দুটি দেশ থেকে ডক্টরেট ডিগ্রি পেয়েছে। ফরিদাবাদের ম্যাজিক অ্যান্ড আর্ট ইউনিভার্সিটি কর্তৃক প্রদত্ত এই উপাধি আদর্শ ভরদ্বাজের কাজকে আরও স্বীকৃতি দিয়েছে।
আদর্শ ভরদ্বাজ কে
আদর্শ ভরদ্বাজ একজন প্রতিভাবান শিশু লেখক। তার লেখায় শিশুদের জন্য আকর্ষণীয় এবং শিক্ষামূলক গল্প রয়েছে। তার দুটি ইংরেজি ভাষার বই অ্যালগরিদম অফ ফিয়ার এবং দ্য হিডেন ওয়ার্ল্ড প্রকাশিত হয়েছে, যা বিশ্বের ১০০টি বিখ্যাত বইয়ের মধ্যে গণ্য হয়। এখন প্রধানমন্ত্রী বাল পুরস্কারের জন্য মনোনীত হওয়া তার প্রতিভার জন্য একটি বড় সম্মান তো বটেই। আদর্শ ভরদ্বাজ ঝাঁঝড়পুরের ডন বসকো কনভেন্ট স্কুলের ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্র। এই স্কুলটি বিহারের মধুবনীতে অবস্থিত একটি ইংরেজি মাধ্যম স্কুল। তার মায়ের নাম ডা. সুধা ঝা এবং বাবার নাম ডা. সুকুমার ঝা, দুজনেই পেশায় ডাক্তার। আদর্শ ভরদ্বাজ তার প্রতিভা এবং ক্ষমতার জন্য সুপরিচিত, এত কম বয়সে ইংরেজি বই লেখায় খ্যাতি তাকে সর্বকনিষ্ঠ লেখকের তকমা তো দিয়েছেই, কয়েক ডজন পুরষ্কার ইত্যাদির পাশাপাশি ভারত এবং নেপাল দুটি দেশ থেকে ডক্টরেট ডিগ্রিও সে অর্জন করেছে।