তিনি বললেন, মাধ্যমিকে ভৌত বিজ্ঞানে মোট ১৫টি এমসিকিউ থাকে, ২১ নম্বরের এসএকিউ প্রশ্ন থাকে। প্রথম এমসিকিউ প্রশ্নের কোনও বাছাই করার সুবিধা থাকে না। এটি গ্রুপ এ। এক্ষেত্রে ১৫টির ১৫টিই উত্তর করতে হবে। তাই বই খুঁটিয়ে পড়াটা বিশেষ জরুরি। দ্বিতীয় হচ্ছে গ্রুপ বি। সেখানে একটি বা দুটি বাক্যে উত্তর দেওয়ার প্রশ্ন থাকে। পূর্ণমান থাকে ১ করে। এর মোট নম্বর হচ্ছে ২১। এখানে পদার্থবিদ্যা ও রসায়ন মিলিয়েই পড়ুয়ারা প্রশ্ন পাবে। এখানেও খুব বেশি বাছাইয়ের সুযোগ থাকে, এমন নয়। এই দুটো মিলিয়েই মোট ৩৬ নম্বরের প্রশ্ন থাকে। এই নম্বরের গুরুত্ব অপরিসীম। যদি লেটার মার্কস পেতে হয়, তা হলে এই নম্বরের মধ্যে যত বেশি সম্ভব পেতে হবে।
advertisement
আরও পড়ুন: ধুয়েমুছে গেলেও নৈতিক জয় দেখছেন দিলীপ ঘোষ, বামেদের 'উত্থানে' তৃণমূলের হাত?
ভৌত বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে এ বার সিলেবাস অনেকটা কমেছে। চ্যাপ্টারের সংখ্যা অনেকটাই কমে গিয়েছে। রসায়নে মাত্র কয়েকটি চ্যাপ্টার আমরা পড়াচ্ছি। ফলত, এই হ্রাস পাওয়া সিলেবাসের থেকে কিছু বাদ দেওয়া যাবে না। প্রায় প্রতিটি লাইনই খুঁটিয়ে পড়তে হবে। কোনও টপিক কঠিন বলে বাদ দেওয়া যাবে না।
আরও পড়ুন: ট্রেনের চাকায় ওটা কী আটকে? মানুষের পা নাকি? হাড়হিম ঘটনা হাড়োয়ায়! বন্ধ হয়ে গেল ট্রেন
এর পর গ্রুপ সি। এখানে ২ নম্বরের প্রশ্ন থাকে, ন'টি প্রশ্নের উত্তর করতে হয়। বর্তমান ফরম্যাট অনুসারে এখানে বাছাই করার সুযোগ থাকবে, কিন্তু সমস্যা হচ্ছে একই চ্যাপ্টারের দুটি প্রশ্নের মধ্যে বাছাই করতে দেওয়া হবে। ফলে কোনও চ্যাপ্টার ছেড়ে যাওয়া যাবে না। প্রথমত, পরিবেশ বিজ্ঞানের অধ্যায় থেকে বায়ুমণ্ডলের স্তর নিয়ে একটি প্রশ্ন সাধারণত থাকে। ওজন হোল, গ্রিনহাইজ গ্যাস বা গ্লোবাল ওয়ার্মি অন্যতম কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এগুলো ভাল করে যেন তৈরি করা হয়। এ ছাড়াও গ্যাসের কিছু অঙ্ক, এ ছাড়া চার্লস ল, আদর্শ গ্যাসের সমীকরণের মতো বিষয়গুলি পড়ুয়ারা যেন একটু নজর দিয়ে যায়। এই বিষয়গুলি থেকেও কমন প্রশ্ন পাওয়া যায়।
এর পর গ্রুপ ডি। গ্রুপ ডিতে আমাদের সব থেকে বেশি প্রশ্ন, অর্থাৎ ১২টি প্রশ্ন করতে হয়, প্রতিটি প্রশ্নের পূ্র্ণমান ৩। মোট ৩৬ নম্বর এখানে থাকে পদার্থবিদ্যা ও রসায়ন মিলিয়ে প্রশ্ন থাকে। লক্ষ্য করলে দেখা যাবে, ৪.১ ও ৪.২ -এই দুটি ক্ষেত্রে গ্যাসের আচরণ বিষয়ক প্রশ্ন আসে, এ ছাড়া রাসায়নিক গণনার উপর প্রশ্ন থাকে। ক্যামিক্যাল ক্যালকুলেশন বা রাসায়নিক গণনার থেকে প্রশ্ন করতেই হবে। এই বিষয়ে দুটি প্রশ্ন আসে, তার মধ্যে একটিতে বাছাই আসে। মোটামুটি শেষ কয়েক বছরের প্রশ্ন-উত্তর সলভ করলে এর মধ্যে থেকে চেনা প্রশ্ন পাওয়া যায়। অ্যাভোগাড্রোর সূত্রর বিষয়টি দরকারি। এ ছাড়া আলো বিষয়ের কিছু প্রশ্ন পাবো। সেখানে r=2f-এর সূত্রটির প্রমাণের বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে। এ ছাড়া প্রিজমের প্রুফ-ও এ বারের পরীক্ষায় আসতে পারে। যে কোনও একটা কী দুটো প্রুফ এ বারের পরীক্ষায় আসবে। আলোর সমস্ত ডায়াগ্রাম পড়তে হবে। আঁকার সময় যেন স্কেল, পেন্সিল ব্যবহার করে যেন সমস্ত মাপ দিয়ে ছবি আঁকা হয়, বৈজ্ঞানিক ভাবে ঠিক না হলে সমস্যা হতে পারে। আলো থেকে প্রতিসরণের ছোটছোট কিছু অঙ্ক আসে, সেগুলোও যেন পড়ে। এ ছাড়াও তড়িৎ প্রবাহ অধ্যায়টিও যেন বিস্তারিত পড়ে নেওয়া হয়। এখান থেকে ছোট ছোট কিছু অঙ্ক আসে, সেটা যেন পড়ুয়ারা করে নেয়।