এসএসসি নবম-দশম শ্রেণি, গ্রুপ সি, গ্রুপ ডি নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে এফআইআর করে তদন্ত শুরু করেছে সিবিআই। তদন্তের স্বার্থে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। জিজ্ঞাসাবাদের মুখে পড়েছে এই নিয়োগ সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটির সদস্যরাও। উঠে আসছে একের পর এক তথ্য। নিয়োগ দুর্নীতির রহস্য ভেদে তৎপর কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এই দুর্নীতির একটা বড় অংশ লুকিয়ে রয়েছে ডিজিটাল তথ্যে। যে তথ্য থেকেই তদন্তের একটা দিক খুলতে পারে বলেই মনে করছেন তদন্তকারীরা।
advertisement
আরও পড়ুন : জুনের শুরুতেই মাধ্যমিকের ফল ঘোষণা, রেজাল্ট জানতে চোখ রাখুন এই ওয়েবসাইটগুলিতে...
এসএসসি অফিস থেকে যাতে কোনও নথি ও তথ্য চুরি বা লোপাট না হয়ে যায়, বা নষ্ট না হয় তার জন্য নিরাপত্তায় রয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। কলকাতা হাইকোর্টর নির্দেশের পরই বৃহস্পতিবার গভীর রাত থেকেই এই নিরাপত্তার ব্যবস্থা। আর ডিজিটাল তথ্য সংরক্ষিত রাখতেই সার্ভার লক করে দিয়েছে সিবিআই। যে সার্ভার থেকেই পরিচালিত হত এসএসসি দফতরের গুরুত্বপূর্ণ কম্পিউটারগুলি। যেখানে রয়েছে নিয়োগ সংক্রান্ত ডিজিটাল তথ্য। যে তথ্যগুলি প্রয়োজন মতো সংগ্রহ করবে সিবিআইয়ের তদন্তকারী আধিকারিকরা।
উল্লেখ্য নিয়োগপত্রে যে কর্তার সই রয়েছে, সেটিও ডিজিটাল ফরম্যাটে বলেই জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা। নিয়োগ সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটির সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ করেই তদন্তকারীরা জানতে পারেন পাসওয়ার্ড দিয়ে ওই সই লক থাকত। সেক্ষেত্রে এই তথ্যও যাতে সংরক্ষিত থাকে সেই বিষয়ে জোর দিতে চেয়েছেন সিবিআই কর্তারা।
আরও পড়ুন : দুর্নীতি মামলার জের! লালুপ্রসাদ যাদবের ১৬ ঠিকানায় একযোগে CBI তল্লাশি!
তাই তথ্য নষ্ট বা চুরি যাতে না হয়, তাই সার্ভার লক করে কম্পিউটারগুলি কার্যত সিল করে দিয়েছে সিবিআই। আর এই গোটা প্রক্রিয়ায় ছিলেন সিবিআইয়ের এসপি পদ মর্যাদার অফিসার, একজন ডিএসপি। ছিলেন সিবিআইয়ের সাইবার বিশেষজ্ঞ ও টেকনিক্যাল টিম। বৃহস্পতিবার রাতেই এই কাজ সম্পন্ন হয়েছে বলে সিবিআই সূত্রে খবর।
প্রতিবেদন : অমিত সরকার