এদিকে এর আগে এসএসসি (স্কুল সার্ভিস কমিশন)-র গ্রুপ সি এবং গ্রুপ ডি-র ৭,২৯৩ জন দাগির তালিকা প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। ওই তালিকায় দাগিদের বিষয়ে সব তথ্যও প্রকাশ করতে হবে। থাকতে হবে রোল নম্বর, প্রাপ্ত নম্বর, বাবার নাম, ঠিকানা। এসএসসি ইতিমধ্যে ৩,৫১২ জন দাগির তালিকা প্রকাশ করেছে। তবে আদালত কমিশনের কাছে পূর্ণাঙ্গ তালিকা চেয়েছে। জানিয়েছে, এই মামলার নিষ্পত্তির ওপরেই নির্ভর করবে গ্রুপ ডি এবং গ্রুপ সি নিয়োগ প্রক্রিয়া।
advertisement
গ্রুপ সি, গ্রুপ ডি প্রার্থীদের একাংশের অভিযোগ ছিল যে এসএসসি দাগি হিসেবে ৩,৫১২ জনের তালিকা প্রকাশ করলেও সুপ্রিম কোর্টে তারা জানিয়েছে দাগির সংখ্যা ৭,২৯৩। বিচারপতি অমৃতা সিংহের নির্দেশ, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে শিক্ষাকর্মীদের যে তালিকা প্রকাশ করা হয়েছিল সেখানে স্পষ্ট করে দাগিদের বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছে। এই ৭,২৯৩ প্রার্থীর বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়ে নতুন করে তালিকা প্রকাশ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল এসএসসি-কে। বুধবার গ্রুপ সি, গ্রুপ ডি নিয়োগ পরীক্ষার আবেদন জমা দেওয়ার শেষ দিন। সেখানে আদালত হস্তক্ষেপ করছে না।
এসএসসি-র গ্রুপ সি এবং গ্রুপ ডি-র নিয়োগপ্রক্রিয়াকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ। আবেদনকারীদের দাবি, তাঁদের নাম যোগ্য তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। বদলে তাঁদের নাম অযোগ্য চাকরিপ্রার্থীদের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে বলে অভিযোগ।
আবেদনকারীদের দাবি, তাঁরা ক্যাটাগরাইজেশন অনুযায়ী দাগি প্রার্থী নন। বুধবার ছিল গ্রুপ সি, গ্রুপ ডি পদে আবেদনপত্র জমা করার শেষ তারিখ। তাই জরুরি ভিত্তিতে মামলার শুনানি চেয়ে বিচারপতি সিংহের এজলাসে মামলা দায়েরের অনুমতি চেয়েছিলেন আবেদনকারীর আইনজীবী।
Somraj Banerjee
