প্রসঙ্গত ২০১৮-১৯ সালেই এদের নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করে দিয়েছিল স্কুল সার্ভিস কমিশন। তাহলে ফের নিয়োগের সিদ্ধান্ত কেন? এ প্রসঙ্গে শিক্ষা মন্ত্রী বলেন "করোনা,নির্বাচন প্রভৃতি চলে আসার কারণেই দেরি হয়েছে।" প্রসঙ্গত দীর্ঘ প্রায় ১৯০ দিন ধরে এই প্রার্থীরা রিলে অনশন, অবস্থান চালিয়ে গেছেন। শনিবার সল্টলেকে এই প্রার্থীদের সঙ্গে খণ্ডযুদ্ধ হয় পুলিশের। শুধু তাই নয়,একাধিকবার শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর বাড়ির সামনেই প্রার্থীদের একাংশ গিয়ে বিক্ষোভ দেখিয়েছে। তারপরেই রাজ্য আরো বেশি করে জোর দিয়ে বিষয়টি দেখতে চাইছে বলেই মনে করা হচ্ছে।
advertisement
এ প্রসঙ্গে এদিন স্কুল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান শুভশংকর সরকারকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন " শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে কথা হয়েছে। প্রার্থীদের আবেদন খতিয়ে দেখে যথার্থতা অনুযায়ী তাদের নিয়োগের ব্যবস্থা করা হবে।" তবে কবে থেকে তা শুরু করা যাবে? এ প্রসঙ্গে চেয়ারম্যান বলেন " উচ্চ প্রাথমিক এর অভিযোগ নিয়ে কেস টু কেস শুনানি পর্ব শুরু হয়েছে মঙ্গলবার থেকে। ৪০ দিন সময় লাগবে। তারপর মাধ্যমিক- উচ্চ মাধ্যমিকের চাকরিপ্রার্থীদের বিষয়টি দেখা হবে।" অন্যদিকে উচ্চ প্রাথমিকে ১৯০০ প্রার্থী ইন্টারভিউ তে উপস্থিত হয়নি। এর কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে এসএসসি চেয়ারম্যান বলেন " দীর্ঘ সময় ধরে চলা প্রক্রিয়ায় এরা অধিকাংশই মাধ্যমিক- উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের চাকরি পেয়ে গিয়েছেন। অনেকেই কলেজে চাকরি পেয়ে গিয়েছেন। আবার কয়েকজনকে দেখা গেছে যারা ভিন রাজ্যে কর্মরত। এই শূন্যপদ সরকারের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। পরবর্তী পরীক্ষার সঙ্গে যুক্ত করবে স্কুল শিক্ষা দপ্তর।"
সোমরাজ বন্দ্যোপাধ্যায় ও উজ্জ্বল রায়