এপ্রিলেও তাঁরা কালীঘাট অভিযান করেছিলেন। সেবারেও পুলিশ তাঁদের আটকায়। সেদিন অবশ্য হাজরা মোড়ে বসে বিক্ষোভ করেছিলেন তাঁরা। তবে, আজ কোনওভাবেই জমায়েত করতে দেয়নি পুলিশ।
advertisement
হাজরা মোড় থেকেই আটক করে পুলিশ। প্রিজন ভ্যানে করে নিয়ে যাওয়া হয় প্রায় ৪০ জন চাকরিহারা শিক্ষক শিক্ষিকাকে। ছত্রভঙ্গ হয় ইউনাইটেড টিচিং ও নন টিচিং ফোরামের চাকরিহারা শিক্ষক-শিক্ষিকারা।
ও এম আর সিটে গড়মিল, সময় বর্হিভূত প্যানেল, র্যাঙ্ক জাম্প এই বিষয়ই এখন শীর্ষ আদালতের প্রশ্নের মুখে। কার্যত এই বিষয়গুলিতে যারা জড়িত তাঁরায় অযোগ্য বলে বিবেচিত। যদিও কারা অযোগ্য ও কারা যোগ্য তা বিচার করবে রাজ্য সরকার। যোগ্য ও অযোগ্যের পৃথককরণ চেয়ে দাবি তুলছেন চাকরিহারারা।
গতকাল মুখ্যমন্ত্রী সাংবাদিক বৈঠক ডেকে বলেছেন নতুন করে পরীক্ষা হবে। তবে রিভিউ পিটিশনের ওপরেও ভরসা রাখতে বলেছেন তিনি। গ্রীষ্মের ছুটির পর শীর্ষ আদালত রাজ্য সরকারের করা রিভিউ পিটিশনে ইতিবাচক রায় দিলে এই পরীক্ষা হবে না বলেই জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু শীর্ষ আদালত যখন বলেছে তখন পরীক্ষার সমস্ত ব্যবস্থা করবে রাজ্য সরকার। ৩১ মে শেষ তারিখ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের সেই কারণেই ৩০ মে বিজ্ঞপ্তি বের করা হবে বলে ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী৷
প্রথম থেকেই নতুন করে পরীক্ষা দিতে নারাজ চাকরিহরারা। তারা বলেছেন যে পদে তারা এতদিন চাকরি করেছেন সেই পদের জন্যে ফের পরীক্ষা তারা দেবেন না। তাদের জন্যে বিকল্প পথের কথা ভাবুক রাজ্য সরকার। এই দাবিকে সামনে রেখেই বিকাশ ভবনের সামনে ৭ মে থেকে বসে রয়েছেন চাকরিহারাদের একাংশ। অন্যদিকে চাকরিহারাদের একাংশ বসে রয়েছেন আচার্য সদনের সামনে। আন্দোলন বিভক্ত, দাবি একই কিন্তু পার্থক্য বিকাশভবনে যারা রয়েছেন তাঁরা স্কুলের যাওয়ায় সুযোগ পেলেও ইউনাইটেড টিচিং ও নন টিচিং ফোরামের চাকরিহারারা স্কুলে ফেরার সুযোগ পাননি।