স্কুলে শিক্ষক নেই, পরিকাঠামো নেই, এমনকী বহু স্কুলে ছাত্রও নেই। রাজ্যে বন্ধের মুখের ৮০০০ স্কুল। মাধ্যমিকে ড্রপ আউটের সংখ্যা বেড়ে চলেছে। মিড ডে মিলে বরাদ্দ কমছে। দুর্নীতি হয়েছে। বেসরকারি স্কুলের ক্ষেত্রেও লাগামছাড়া ফি বৃদ্ধি হয়েছে। সরকারি স্কুলেও, নির্ধারিত ২৪০ টাকার বেশি ফি নেওয়া হচ্ছে সর্বত্র। বন্ধ আদিবাসী হোস্টেল। বন্ধ স্কলারশিপ।
advertisement
স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডে ছাত্রছাত্রীদের পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি। ফলাও করে কন্যাশ্রীর কথা বলা হলেও নাবালিকা বিবাহে পশ্চিমবঙ্গ শীর্ষে। সিলেবাস থেকে বাদ তেভাগা, ত্রিকোণমিতি, ডারউইন। লকডাউনে দামি মোবাইল না থাকায় বহু ছাত্রছাত্রী লেখাপড়ার সুযোগ পায়নি।
আরও পড়ুন– কলকাতা থেকে ওড়িশা বাড়তি ভাড়া, উল্টোপথে বিনামূল্যে যাত্রীরা পৌঁছলেন কলকাতায়
এই কনভেনশনের জন্য অভিনব প্রচার করা হয়েছে সংগঠনের তরফে। যেখানে নন্টে ফন্টে, সুপারিন্টেন্ডেন্ট, সুপারম্যান, ফেলুদা, টিনটিন-সহ বেশ কিছু কমিকস চরিত্র কে ব্যবহার করা হয়েছে আকর্ষণীয় করার জন্য। এসএফআইয়ের রাজ্য সম্পাদক সৃজন ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘গল্পের বই, কার্টুন, বা সিনেমায় দেখা চরিত্রদের মুখ দিয়ে এখনকার স্কুলশিক্ষার বেহাল অবস্থার কথা বলানোর চেষ্টা হয়েছে, যাতে তা আকৃষ্ট করে অনেক ছাত্রকে। এ কাজ স্বতঃস্ফূর্তভাবেই করেছে এসএফআই কর্মীরা। বিভিন্ন অভিনব পদ্ধতিতে শিক্ষাব্যবস্থা ধ্বংসের বিরুদ্ধে বার্তা দেওয়াই আমাদের লক্ষ্য।’’
আগামী দিনে রাজ্যজুড়ে এই রকমের প্রচার চালানো হবে বলে সংগঠনের তরফে জানানো হয়েছে। এর আগেও এই অভিযোগগুলোকে সামনে রেখে বেশ কিছু কর্মসূচি করা হয়েছে সংগঠনের পক্ষ থেকে। রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থার পাশাপাশি কেন্দ্রের শিক্ষানীতি নিয়েও রাস্তায় নেমেছে এসএফআই। মিটিং, মিছিল, বিক্ষোভ কর্মসূচিও করা হয়েছে সংগঠনের তরফে ৷