প্রসঙ্গত প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বন্যা পরিস্থিতির মোকাবিলায় বাঁধ ও খাল সংস্কারে এখন থেকে প্রস্তুতি গ্রহণের জন্য সেচ দফতরকে নির্দেশ দিয়েছিলেন। এ বার সাইক্লোন,বন্যা ও ধসের মতো প্রাকৃতিক বিপর্যয় মোকাবিলায় প্রস্তুতি বৈঠক ডাকলেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। মঙ্গলবার নবান্ন সভাঘরে এই বৈঠকে ডিভিসি, আলিপুর আবহাওয়া অফিস,কলকাতা বন্দর, কেন্দ্রীয় জল কমিশন,সেনা-সহ সংশিষ্ট কেন্দ্রীয় প্রতিষ্ঠান ও রাজ্য সরকারের দফতরগুলিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
advertisement
বন্যা ও সাইক্লোন পরিস্থিতির পূর্বাভাস ও সেই মতো ত্রাণ ও পুনর্গঠনের প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনা হবে। রাজ্য সরকার ইতিমধ্যেই প্রতিবেশী রাজ্যগুলির বন্য পরিস্থিতি ও জলধারগুলির জলের পরিমাণ নিয়ে ডিভিসির সঙ্গে নিয়মিত নজরদারির নির্দেশ দিয়েছে সেচ দফতরকে। এই বিষয়টি নিয়ে বৈঠকে ডিভিসি ও কেন্দ্রীয় জল কমিশনের সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা করতে চান মুখ্যসচিব। যাতে জল ছাড়ার বিষয়টিতে রাজ্যের নজর অনেক আগে থেকেই থাকে। সংশ্লিষ্ট জেলাশাসকদের সঙ্গে সঙ্গে জানাতে হবে।
ডিভিসি-র জল ছাড়া নিয়ে বিভিন্ন সময় অভিযোগ ওঠে। রাজ্যের দাবি, সময়মতো জানতে না পারার জন্যই এই সমস্যা হয়। জলধার বা বাঁধ থেকে জল ছাড়ার কথা কিছুটা আগাম সংশ্লিষ্ট জেলাশাসকদের জানাতে হবে। প্রসঙ্গত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একাধিকবার ডিভিসি-র বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন জল ছাড়া নিয়ে। বিশেষত না জানিয়ে ডিভিসি জল ছেড়ে দেওয়ার কারণে রাজ্যে বন্যা হয় বলেও অভিযোগ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকেও চিঠি লিখেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই বিষয় নিয়ে। তাই মনে করা হচ্ছে ওই দিনের বৈঠকে আগেভাগেই ডিভিসিকে সতর্ক করে দিতে পারে রাজ্য।
তারই সঙ্গে রাজ্যে বন্যা পরিস্থিতি হলে কীভাবে যথাসময়ে তার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে তারও আগাম নির্দেশ ওই দিনের বৈঠকে দেওয়া হতে পারে। জলধার গুলি যাতে সংস্কার হয় সেই বিষয় নিয়েও আগামী মঙ্গলবার এর বৈঠকে আলোচনা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।