দেশের ৩৫টি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ৫,৫০০-র বেশি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৫৮ হাজার ছাত্রছাত্রী স্কলারশিপের আবেদন করেছিলেন। এঁদের মধ্যে থেকে মেধা এবং যোগ্যতা অনুযায়ী ৫ হাজার জনকে বেছে নেওয়া হয়েছে। স্কলারশিপের জন্য যোগ্যতা নির্ণায়ক পরীক্ষার পারফরম্যান্স, দ্বাদশ শ্রেণীর রেজাল্ট দেখা হয়। বলে রাখা ভাল, স্কলারশিপের জন্য নির্বাচিত ৭৫ শতাংশ পড়ুয়ার পারিবারিক আয় ২.৫ লাখ টাকার কম। www.reliancefoundation.org-এ গিয়ে স্কলারশিপের ফলাফল দেখতে পারবেন শিক্ষার্থীরা।
advertisement
রিলায়েন্স ফাউন্ডেশন আন্ডারগ্র্যাজুয়েট স্কলারশিপের লক্ষ্য হল ভারতের ভবিষ্যত আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে অবদান রাখার জন্য ছাত্রছাত্রীদের পড়াশোনায় সাহায্য করা। মেধা এবং আর্থিক অবস্থার ভিত্তিতে পড়ুয়াদের বাছা হয়, যাতে গ্র্যাজুয়েশনের পড়াশোনার জন্য তাঁদের টাকাপয়সা নিয়ে ভাবতে না হয়।
আরও পড়ুন- একটুর জন্য প্রাণে রক্ষা…! গ্যাস সিলিন্ডার লিক করে আগুন, বিরাট দুর্ঘটনা থেকে বাঁচলেন টলি নায়িকা
আরও পড়ুন- একটুর জন্য প্রাণে রক্ষা…! গ্যাস সিলিন্ডার লিক করে আগুন, বিরাট দুর্ঘটনা থেকে বাঁচলেন টলি নায়িকা
শিক্ষা, উৎকর্ষতা এবং উদ্ভাবন ক্ষেত্রে রিলায়েন্স ফাউন্ডেশন স্নাতক ছাত্রদের ভবিষ্যত সম্ভাবনাকে উন্মোচিত করতে এবং জাতিকে বৃহত্তর দিকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে। এখনও পর্যন্ত ২৩,১৩৬ পড়ুয়াকে স্কলারশিপ দিয়েছে রিলায়েন্স। এঁদের মধ্যে ৪৮ শতাংশ মহিলা এবং ৩,০০১ জন প্রতিবন্ধী। এ বছর স্কলারশিপের জন্য বাণিজ্য, কলা, বিজনেস/ম্যানেজমেন্ট, কম্পিউটার অ্যাপ্লিকেশন, বিজ্ঞান, মেডিসিন, আইন, শিক্ষা, আতিথেয়তা, স্থাপত্য, ইঞ্জিনিয়ারিং/ টেকনোকজি এবং অন্যান্য স্নাতক বিভাগ-সহ সমস্ত বিষয়ের শিক্ষার্থীদের বেছে নেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ১৯৯৬ সাল থেকে এই স্কলারশিপ দিচ্ছে রিলায়েন্স। রিলায়েন্সের প্রতিষ্ঠাতা ধীরুভাই আম্বানির ৯০ তম জন্মবার্ষিকীতে ২০০২ সালের ডিসেম্বরে স্কলারশিপ নিয়ে বড় ঘোষণা করা হয়। রিলায়েন্স ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা এবং চেয়ারপার্সন নীতা আম্বানি ঘোষণা করেন, রিলায়েন্স ফাউন্ডেশন আগামী ১০ বছরে ৫০ হাজার পড়ুয়াকে স্কলারশিপ দেবে। ২০২৩-২৪-এ স্কলারশিপের জন্য ৫ হাজার পড়ুয়ার নাম ঘোষণা করা হল এদিন। এই উদ্যোগ ভারতের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের প্রতি রিলায়েন্সের প্রতিশ্রুতি বলে মনে করেন তিনি।