শত বাধা পেরিয়ে পঞ্চম বারের প্রচেষ্টায় নিট ২০২২-এ সফল হয়েছেন রামলাল৷ পরিবারে তিনিই প্রথম ডাক্তার হতে চলেছেন৷ তাঁর সাফল্যের কাহিনি হার মানাবে ছবির চিত্রনাট্যকেও৷ অনুপ্রেরণার উৎস হবে তরুণ প্রজন্মের কাছে৷
১১ বছর বয়সে রামলাল যখন ষষ্ঠ শ্রেণীর পড়ুয়া ছিলেন, তখন তাঁর বিয়ে হয়ে যায়৷ ইচ্ছের বিরুদ্ধেই পরিবারের চাপে বাধ্য হয়ে শৈশবের বিয়েতে রাজি হয়েছিলেন৷ বিয়ে হয় পড়শি গ্রামের এক বালিকার সঙ্গে৷ অপরিণত বয়সে বিয়ে, সংসারে দারিদ্র সত্ত্বেও তিনি পণ করেছিলেন পড়াশোনা ছাড়বেন না৷
advertisement
রামলালের উচ্চশিক্ষার সিদ্ধান্তে সহমত ছিলেন না তাঁর বাবা৷ তবে তিনি পাশে পেয়েছিলেন তাঁর স্ত্রীকে৷ বিয়ের পর দশম শ্রেণী পর্যন্ত পড়াশোনা করা বধূ আপ্রাণ সাহায্য করেছেন স্বামীকে৷ স্বামীর নিষ্ঠাকে কুর্নিশ জানিয়েছেন তিনিও৷
ডাক্তারির প্রবেশিকায় সফল হওয়ার জন্য বিশেষ প্রশিক্ষণ কেন্দ্রেও যোগ দিয়েছিলেন তিনি৷ প্রবেশিকায় ভাল ফলাফলের দৌলতে এ বার ভাল ডাক্তারি কলেজে ভর্তি হওয়ার অপেক্ষায় দিন গুনছেন রামলাল৷
রাজস্থানের চিতৌরগড়ের ঘোসুন্ডা এলাকার বাসিন্দা রামলাল ও তাঁর স্ত্রী বড় যৌথ পরিবারের অংশ৷ দম্পতির একটি সন্তানও আছে৷ বিয়ের ৯ বছর পর পিতৃত্বের স্বাদ পান ২০ বছর বয়সি রামলাল৷ তাঁর সাফল্যে পরিবারে এখন খুশির হাওয়া৷