এই পদক্ষেপটি অফিসারদের নতুন নিয়োগের পথ তৈরি করবে। প্রসঙ্গত ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে মন্ত্রিসভা রেলওয়ে অফিসারদের জন্য একক ক্যাডার রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর থেকে সব প্রকারের নিয়োগ আটকে রয়েছে।
আরও পড়ুন: CISF জওয়ান হওয়ার দারুণ সুযোগ, ১১৪৯ শূন্যপদে নিয়োগ! আজই আবেদন করুন
একাধিক ক্যাডারের অধীনস্থ কর্মকর্তাদের আন্তঃবিভাগীয় টার্ফ ওয়ার এবং বিভাগীয় ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সাহায্য করার জন্য বিশাল রেলওয়ে নেটওয়ার্ক সংস্কার এবং আধুনিকীকরণের জন্য কেন্দ্র বর্তমানে যাবতীয় পদক্ষেপ নিচ্ছে।
advertisement
আরও পড়ুন: মেট্রো রেল কর্পোরেশনে পরিচালক পদে নিয়োগ! কী ভাবে আবেদন করবেন, কবে করবেন জানুন
সূত্র থেকে জানা গিয়েছে যে, ভারতীয় রেল প্রায় ১৫০ জন অফিসার নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু করতে পারে। বিশেষ করে নতুন নিয়োগ ক্ষেত্রে দেরি হওয়ার কারণে রেলওয়েতে কর্মী সঙ্কটের অবস্থা শুরু হয়েছে। তাই এই মুহূর্তে রেলওয়েতে নতুন নিয়োগের জন্য যাবতীয় নিয়োগের নিয়মগুলি অতিশীঘ্র কার্যকর করতে হবে। রেল মন্ত্রকের একজন সিনিয়র কর্মকর্তার কথায়, “নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়ার গৃহীত ব্যবস্থাগুলি বেশ ভাল লক্ষণ বলে বিবেচিত হতে পারে। আমাদের ভবিষ্যতের জন্য আমাদের জনশক্তি প্রস্তুত করতে হবে”।
আটটি ভিন্ন ক্যাডারের অধীনে কর্মরত কর্মকর্তাদের ভবিষ্যত বেশ গম্ভীর অবস্থার মুখোখুখি দাঁড়িয়ে রয়েছে, উচ্চপদস্থ সূত্রে বলা হয়েছে, বর্তমান পরিষেবার কারণে তাতে স্থিতাবস্থা বজায় থাকবে- যার অর্থ বর্তমান কর্মকর্তারা তাঁদের বিভাগে কাজ চালিয়ে যাবেন, প্রতিটি বিভাগ তাদের নিজস্ব কর্মজীবনের অগ্রগতি এবং সিনিয়রিটির ভিত্তিতে পদোন্নতি করার সুযোগ পাবে। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, মন্ত্রিপরিষদের অনুমোদন অনুযায়ী সরকার নতুন নিয়োগের জন্য একটি ঐক্যবদ্ধ ক্যাডার তৈরির চেষ্টা করছে।
সূত্র মারফত আরও জানা গিয়েছে যে, বিভিন্ন ক্যাডারের বর্তমান সকল কর্মকর্তাকে এক ক্যাডারের অধীনে আনা নিঃসন্দেহে কঠিন কাজ। ডিপার্টমেন্টালিজম এবং সাইলো কালচার শেষ করার লক্ষ্যে মন্ত্রিসভা এই ব্যবস্থার জন্য অগ্রসর হওয়ার অনুমতি দেওয়ার দুই বছর পরেও সরকার ক্যাডারদের একীভূত করতে যে বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হয়েছিল তা এই দীর্ঘ সময়কালই বলে দিচ্ছে।
এর আগে, রেলওয়ে আমলাতন্ত্রের মধ্যে ব্যাপক উদ্বেগের পরিস্থিতি শুরু হলে মন্ত্রিসভা ওই সিদ্ধান্তের পরেই রেল মন্ত্রক অফিসারদের সঙ্গে কয়েক দফা আলোচনা করেছিল।