তার পরেই রয়েছে, বাঁকুড়া (৩৭১) পশ্চিম মেদিনীপুর (২২৭), বীরভূম (১৫৬), পূর্ব বর্ধমান (১২৮), পূর্ব মেদিনীপুর (১৩০), ঝাড়গ্রাম (১২০), মুর্শিদাবাদ (১০০)। এমন স্কুল রয়েছে হাওড়া হুগলি নদিয়া-সহ অন্য জেলায়ও। এমনকি কলকাতায়ও রয়েছে এমন ১৮টি স্কুল। যদিও কলকাতা জেলার এক আধিকারিক জানিয়েছেন, তাঁরা হাতে কোনও চিঠি পাননি। তাঁর দাবি, “সরকার যেমন নির্দেশ দেবে, সেই মতোই পদক্ষেপ করব আমরা।”
advertisement
উল্লেখ্য, শিক্ষার অধিকার আইন ২০০৯ অনুযায়ী প্রাথমিক স্তরে প্রতি ৬০ জন পড়ুয়া পিছু ২জন শিক্ষক থাকা আবশ্যিক। তবে ওই শিক্ষক-সঙ্কটে ভোগা স্কুলগুলিতে পড়ুয়ার সংখ্যা কত, তার হিসাব দেওয়া হয়নি। জেলা থেকে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের এক কর্তা বলেন, “প্রশাসনের সিদ্ধান্ত মেনে আমরা কাজ করতে শুরু করেছি। জেলার ভিতরেই বদলির কথা ভাবা হচ্ছে। যে সব স্কুলে অধিক শিক্ষক রয়েছেন, সেখান থেকে শিক্ষক-সঙ্কটে ভোগা স্কুলগুলিতে বদলি করে দেওয়া হবে তাঁদের।”
শিক্ষনুরাগী ঐক্য মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক কিঙ্কর অধিকারী বলেন, “এত দিনে সরকারের টনক নড়ল! এ ভাবেই সরকারি প্রাথমিক এবং জুনিয়র স্কুলগুলিকে ধ্বংস করে বেসরকারিকরণের দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে। শুধু শিক্ষক নয়। আমাদের দাবি, গ্রুপ সি, গ্রুপ ডি কর্মী নিয়োগ করে সরকারি বিদ্যালয়গুলিকে পুনরায় বাঁচিয়ে তোলা হোক।” প্রসঙ্গত প্রত্যেকটি জেলার জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার সংসদের চেয়ারম্যানদের চিঠি লিখে এই বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে স্কুল শিক্ষা দফতর সূত্রে খবর।
সোমরাজ বন্দ্যোপাধ্যায়