গত ৯ অগাস্ট যাদবপুর বিশ্বিবদ্যালয়ের মেইন হস্টেলের বারান্দা থেকে পড়ে যান বাংলা বিভাগের প্রথম বর্ষের এক ছাত্র৷ পরের দিনই ভোরে হাসপাতালে মৃত্যু হয় তাঁর৷ ঘটনায় হস্টেলের সিনিয়রদের বিরুদ্ধে র্যাগিংয়ের অভিযোগ আনে ছাত্রের পরিবার৷ ঘটনায় গ্রেফতার করা হয় যাদবপুরের বর্তমান ও প্রাক্তন ছাত্র মিলিয়ে অন্তত ১২ জনকে৷ সম্প্রতি নবান্নে গিয়েও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করে ছেলের মৃত্যুর বিচার চান নিহত ছাত্রের বাবা-মা৷
advertisement
এমন পরিস্থিতিতে সরকারি স্কুলের ছাত্রীদের নিরাপত্তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছিল৷ এবার তাই ছাত্রী নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিশেষ পদক্ষেপ করল রাজ্য সরকার৷ প্রশাসন সূত্রের খবর, প্রথম পর্যায়ে রাজ্যজুড়ে মোট ১৫৯টি গার্লস স্কুলে সিসিটিভি বসানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ১৫৯ টি গার্লস স্কুলের পাশাপাশি ১৫১ টি গার্লস হস্টেলেও সিসিটিভি বসাচ্ছে রাজ্য।
এরপর ধীরে ধীরে রাজ্যজুড়ে বাকি গার্লস স্কুলগুলিতেও সিসিটিভি বসাতে চায় রাজ্য সরকার। গোটা প্রক্রিয়াটি ১৫ দিনের মধ্যে শেষ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রাজ্যের প্রত্যেকটি জেলাতেই স্কুল চিহ্নিত করেছে রাজ্য স্কুল শিক্ষা দফতর।
ছাত্রমৃত্যুর পরেই অবশ্য হস্টেল এবং ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা নিয়ে বিশেষ তৎপর হয়েছেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ৷ ইতিমধ্যেই রাজ্যপাল তথা আচার্য সি ভি আনন্দ বোসের আবেদনে সাড়া দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর পরিদর্শন করে গিয়েছে ইসরোর একটি দল৷ ছাত্র-ছাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং ক্যাম্পাসে বহিরাগতদের আগমন আটকাতে AI এবং অন্য একটি অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছেন তাঁরা৷ তাছাড়া, ঘটনার পর পরই ক্যাম্পাস জুড়ে লাগানো হচ্ছে সিসি ক্যামেরা৷