তবে প্রায় প্রত্যেকটি স্কুলে এই প্রথম বেঞ্চ এবং লাস্ট বেঞ্চের গল্প অনেকটাই এক। তবে এই গল্পেই এবার মেগা টুইস্ট। লাস্ট বেঞ্চে বসে বলে কাউকে যেন ছোট করে না দেখা হয়। আর সেই কারণেই এবার লাস্ট বেঞ্চটাই তুলে দিল- এস এস হাইমাদ্রাসা। “নো ওয়ান ব্যাকবেঞ্চার” পদ্ধতিতে বীরভূম জেলায় প্রথম পাঠদান প্রথা চালু করে নজির সৃষ্টি করল কয়থা এস এস হাইমাদ্রাসা।
advertisement
“আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন”
এখন থেকে সবাই বসবে ফার্স্ট বেঞ্চে। আর কোনও পড়ুয়া থাকবে না পিছনের সারিতে। কেউ আর অবহেলিত নয়। কয়থা স্কুলে পরীক্ষামূলকভাবে শুরু হয়ে গেল ‘নো ওয়ান ব্যাকবেঞ্চার্স’ পড়াশোনার ব্যবস্থা। তবে এবার আপনার মনে এই প্রশ্ন আশা করি হচ্ছে সবাই ফার্স্ট বেঞ্চে৷ কীভাবে সম্ভব? প্রশ্নের উত্তরে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গোলাম নবী আজাদ জানান, কেরলের স্কুলগুলিতে ক্লাসে বসার চিরকালীন ব্যবস্থাটাই বদলে দেওয়া হয়েছে।
সেভাবেই কেরলের পথ অনুসরণ করেছে এই স্কুল। তবে এবার প্রশ্ন ব্যাকবেঞ্চার্স বলতে ঠিক কী বোঝায়! সাধারণত শ্রেণিকক্ষে পরপর বেঞ্চগুলি বসানো থাকে। ফলে না চাইতেও কাউকে না কাউকে পিছনের দিকে বসতেই হয়। তাই পিছনের সারিতে বসা পড়ুয়ারা অনেকসময় পড়াশোনা বুঝতে পারে না। আবার শিক্ষক-শিক্ষিকাদের পিছনের বেঞ্চে বসা পড়ুয়াদেরও নজরে রাখা সম্ভব হয় না। তাই এখন থেকে ক্লাসরুমে বেঞ্চ সাজানো হয়েছে ইংরেজি ইউ-এর মতন করে। আর তাতেই সবাই বসছে সামনের বেঞ্চে। সব পড়ুয়াকে নজরে রাখতে পারছেন শিক্ষক-শিক্ষিকারা। স্কুলের এই অভিনব চিন্তা ভাবনাকে সাধুবাদ জানাচ্ছেন অভিভাবকরা।
সৌভিক রায়