বহু বছর পর স্থায়ী উপাচার্য পেতে চলেছে বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়। বিগত দু’বছর ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তী উপাচার্যের দায়িত্ব সামলেছেন সুশান্ত চক্রবর্তী। এবার তার পরবর্তীতে স্থায়ী উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব সামলাবেন দীপক কুমার কর। যিনি এর আগেও উপাচার্যের দায়িত্ব সামলেছেন। ছিলেন কলকাতা আশুতোষ কলেজের প্রিন্সিপাল।
জানা গিয়েছে, দীপক কুমার কর এক সময়ে কলকাতার আশুতোষ কলেজের বোটানি বিভাগের অধ্যাপক ছিলেন। পরে ওই কলেজেরই অধ্যক্ষ হন। পরবর্তী কালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ উপাচার্য (শিক্ষা) হিসেবেও কাজ করেছেন তিনি। পরবর্তীতে সিধু কানু বিরসা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হন। স্বাভাবিকভাবে রাজ্যের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানের প্রশাসক হিসেবে নিজের কর্তব্যে অবিচল ছিলেন। এরপর তাঁকে কলেজ সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান নিযুক্ত করা হয়। শিক্ষামহল মনে করছেন, বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শেষ স্থায়ী উপাচার্য রঞ্জন চক্রবর্তী। যিনি ২০২১ সালের ৫ জুলাই এই পদ থেকে অব্যাহতি নিয়েছেন। এরপর আর কোনও স্থায়ী উপাচার্য ছিল না বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ে।
advertisement
এরপর বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনার জন্য, বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক শিবাজীপ্রতীম বসুকে অস্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ করা হয়। ২০২৩–এর ৫ জানুয়ারি তাঁকে সরে যেতে হয়। তারপরে পবিত্র সরকারকে উপাচার্য করে পাঠায় উচ্চশিক্ষা দফতর। তাঁকেও মাস তিনেকের মধ্যে সরে যেতে হলে প্রায় মাস চারেক উপাচার্যহীন অবস্থায় চলে বিশ্ববিদ্যালয়। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র অধ্যাপক হিসেবে সুশান্ত চক্রবর্তীকে উপাচার্য করে পাঠান রাজ্যপাল। তাও ছিল অস্থায়ী। এতদিনে চার বছরের জন্য স্থায়ী উপাচার্য পেল বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়। এই ঘটনায় খুশি শিক্ষক–ছাত্রছাত্রীরাও।
প্রসঙ্গত, কলকাতা, যাদবপুর–সহ ১৭টি বিশ্ববিদ্যালয়ে আপাতত কোনও স্থায়ী উপাচার্য নেই। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে নবান্নের তরফে গত বছরের ২০ নভেম্বর রাজ্যের ৩৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগে সম্ভাব্য প্রার্থীদের নাম রাজভবনে পাঠানো হয়েছিল। রাজ্যপাল এখনও পর্যন্ত ১৯টি নামে ছাড়পত্র দিয়েছেন। তার মধ্যে রয়েছে অধ্যাপক দীপক কুমার কর এর নাম। চার বছরের জন্য স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগে খুশি জেলার শিক্ষামহল। খুশির ছাত্র-ছাত্রী থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন মহাবিদ্যালয়ের অধ্যাপক অধ্যাপিকারা।
রঞ্জন চন্দ