পড়াশোনার মান, গবেষণা, উদ্ভাবনী ভাবনা এবং সার্বিক বিচারে সারাদেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে নিয়ে প্রকাশিত হয় ন্যাশনাল ইনস্টিটিউশনাল র্যাঙ্কিং ফ্রেমওয়ার্ক। দেশের সেরা কলেজের তালিকায় ৪২-তম স্থানে শহিদদের স্মৃতিধন্য মেদিনীপুর কলেজ (স্বশাসিত)। বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) প্রকাশিত ‘ন্যাশনাল ইনস্টিটিউশনাল র্যাঙ্কিং ফ্রেমওয়ার্ক- ২০২৫’ (NIRF-2025) অনুযায়ী পশ্চিমবঙ্গের ৬টি কলেজ এবার দেশের ‘সেরা ১০০’-টি কলেজের তালিকায় স্থান পেয়েছে। তালিকায় ৪২-তম স্থানে আছে ঐতিহাসিক মেদিনীপুর কলেজ।
advertisement
একইভাবে রেল শহর খড়্গপুরে অবস্থিত আইআইটি খড়গপুরও নিজের জায়গা ধরে রেখেছে।এনআইআরএফ (NIRF-2025) র্যাঙ্কিংয়ে সার্বিকভাবে দেশের সেরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তালিকায় (Overall Ranking) গত বছরের মতো এবারও ষষ্ঠ স্থানে আছে দেশের প্রাচীনতম প্রযুক্তিবিদ্যার প্রতিষ্ঠান (আইআইট) খড়্গপুর আইআইটি (IIT Kharagpur)। এবারও প্রথম স্থান ধরে রেখেছে চেন্নাই আইআইটি।
আরও পড়ুন-ভয়ঙ্কর দুঃসময়…! শুক্রের ঘরে মঙ্গল গোচর, কপাল পুড়বে ৫ রাশির, আর্থিক কষ্ট, জীবন ‘নরক’ করে ছাড়বে…
অন্যদিকে, গতবছর (২০২৪) দেশের ‘সেরা ১০০’ কলেজের তালিকায় ছিল পশ্চিমবঙ্গের ৭টি কলেজ। ২০২৩-এ ৮টি কলেজ এই সাফল্য অর্জন করেছিল। এবার সেখানে মাত্র ৬টি কলেজ এই গৌরব অর্জন করতে পেরেছে। ষষ্ঠ স্থানে আছে, রামকৃষ্ণ মিশন বিবেকানন্দ সেন্টেনারি কলেজ (রহড়া, কলকাতা)। অষ্টম স্থানে আছে সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজ (কলকাতা)। ১৯-তম স্থানে আছে রামকৃষ্ণ মিশন বিদ্যামন্দির (বেলুড়, হাওড়া)। ২৪-তম স্থানে আছে রামকৃষ্ণ মিশন আবাসিক (নরেন্দ্রপুর, কলকাতা), ৪২-তম স্থানে আছে মেদিনীপুর কলেজ (মেদিনীপুর) এবং ৪৭-তম স্থানে আছে লেডি ব্র্যাবোর্ন কলেজ (কলকাতা)। একমাত্র লেডি ব্র্যাবোর্ন ছাড়া বাকিরা সকলেই গতবছরের তুলনায় র্যাঙ্কিংয়ে কিছুটা হলেও পিছিয়ে গিয়েছে।
উল্লেখ্য যে, চলতি বছরে এই এনআইআরএফ র্যাঙ্কিং-এর জন্য দেশের ১৪,১৬৩টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নিজেদের নাম নথিভুক্ত করেছিল বলে কেন্দ্রীয় সরকারের শিক্ষামন্ত্রক জানিয়েছে। একাধিক মানদন্ডের নিরিখে সংগৃহীত তথ্য ও সমীক্ষা ভিত্তিতেই বিভিন্ন সূচকে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিকে। দেশের সেরা কলেজের তালিকায় ৪২-তম স্থানে আছে জঙ্গলমহল পশ্চিম মেদিনীপুরের মেদিনীপুর কলেজ (স্বশাসিত)। মেদিনীপুর কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ড. সত্যরঞ্জন ঘোষ বলেন,’খুবই কঠিন পরীক্ষা ছিল! নিজেদের জায়গা ধরে রাখতে পেরে আমরা গর্বিত, আপ্লুত। আমাদের কলেজের সকল শিক্ষক-শিক্ষিকা, ছাত্রছাত্রী, শিক্ষাকর্মী-সহ শুভানুধ্যায়ীদের আন্তরিক প্রচেষ্টার ফলেই এই সাফল্য অর্জন সম্ভব হয়েছে।’ স্বাভাবিকভাবে এই মানদণ্ড পড়ুয়াদের সার্বিক মানোন্নয়ন শিক্ষার পরিবর্তন এবং প্রাতিষ্ঠানিক পরিবর্তনে সহায়তা করবে।