উল্লেখ্য সেই মামলায় জামিন পেলেও সিবিআই তদন্ত শুরু হয় সুমিতের বিরুদ্ধে। এক বছর কেটে গেলেও তদন্তে কোনও অগ্রগতি হয়নি, তদন্তের স্বার্থে জিজ্ঞাসাবাদ করাও হয়নি ডাক্তারি পড়ুয়াকে। সম্প্রতি এপ্রিলে পড়ুয়াকে সাসপেন্ড করে কলেজ কর্তৃপক্ষ। দ্বিতীয়বর্ষের অতিরিক্ত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন না তিনি এই অভিযোগ করে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয় ডাক্তারি পড়ুয়া সুমিত।
advertisement
মামলাকারী পড়ুয়ার আইনজীবী অর্কদেব বিশ্বাস এবং দেবারতি রায়চৌধুরীর অভিযোগ শো-কজ নোটিস না দিয়ে বা ঘটনার তদন্ত না করে এবং পড়ুয়াকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়েই সাসপেন্ড করা হয়েছে। অতিরিক্ত পরীক্ষায় বসার সুযোগ হারিয়ে পড়ুয়ার গুরুত্বপুর্ণ সময় নষ্ট হতে চলেছে যা ভবিষ্যতে প্রভাব ফেলতে পারে।
আইনজীবীদের অভিযোগ সিবিআই মামলার কোনও অগ্রগতি না হওয়ায় অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছেন পড়ুয়া এবং অতিরিক্ত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করার সাময়িক অনুমতি দিক। রাজ্যের আইনজীবী স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায় জানান যে, কেন্দ্রের মেডিক্যাল কমিশনের নির্দেশ অনুযায়ী রাজ্য সাসপেন্ড করেছে অভিযুক্ত পড়ুয়াকে। সিবিআই-কে এই মামলায় যুক্ত করার আর্জি করেন তিনি।
আরও পড়ুন: ১ লক্ষেরও কম খরচ, পাশ করলে ৩৪ লক্ষের প্যাকেজে চাকরি! কলকাতার এই ইউনিভার্সিটির খোঁজ রইল
উভয় পক্ষের বক্তব্য শুনে বিচারপতি রাজা বসুচৌধুরীর নির্দেশ, আগামী ৯ ও ১০ জুন প্যাথলজি বিষয়ের অতিরিক্ত পরীক্ষায় বসার সুযোগ দিতে হবে ডাক্তারি পড়ুয়াকে এবং আদালতের অনুমতি ছাড়া পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা যাবেনা। মামলার পরবর্তী শুনানি জুলাই মাসে।