৬৯২ নম্বর পেয়ে যুগ্ম দ্বিতীয় হয়েছেন মালদহের কৌশিকী সরকার এবং পশ্চিম মেদিনীপুরের রৌনক মণ্ডল। ৬৯১ নম্বর পেয়ে যুগ্ম তৃতীয় হয়েছেন পশ্চিম বর্ধমানের অনন্যা দাশগুপ্ত এবং পূর্ব মেদিনীপুরের দেবশিখা প্রধান। চতুর্থ হয়েছেন চার জন। তাদের প্রাপ্ত নম্বর ৬৯০। চতুর্থ চারজন। তারা আলিপুরদুয়ার, মালদহ, হুগলির ও কলকাতার।
advertisement
পূর্ব মেদিনীপুরে পাশের বার সবচেয়ে বেশি। পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় সর্বাধিক পাশের হার ৯৭.৬৩ শতাংশ। এরপরই পাশের হারে দ্বিতীয় কালিম্পং আর কলকাতা রয়েছে চতুর্থ স্থানে। সেখানে পাশের হার ৯৪.৩৬ শতাংশ।
করোনার কারণে এর আগে দু’বছর মাধ্যমিক পরীক্ষা হয়নি। এ বছর পরীক্ষা হয়। গত ৭ মার্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হয়। এ বছর পরীক্ষা দিয়েছিল ১১ লক্ষের বেশি ছাত্রছাত্রী। যার মধ্যে ছাত্রীর সংখ্যা ৬ লক্ষের বেশি। যা ছাত্রদের থেকে প্রায় ১১ শতাংশ বেশি। পরীক্ষা শেষ হওয়ার ৭৯ দিনের মধ্যে ফল প্রকাশ করল পর্ষদ।
আরও পড়ুন: সবার সেরা কোন জেলা? মাধ্য়মিকের সাফল্যে বাকিদের ছাপিয়ে গেল যে জেলা...
এ বছর মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য আবেদন করেছিল ১১,২৭,৮০০ জন, পরীক্ষা দিয়েছে ১০,৯৮৭৭৫ জন, পাশ করেছে ৯,৪৯,৯২৭ জন। পরীক্ষা বাতিল হয়েছে ১১ জনের। সেই অনুযায়ী, এ বছর পাশের হার ৮৬.৬০ শতাংশ। এ বছর পাশের হার গত বছরের তুলনায় বেশি।
আরও পড়ুন: মাধ্যমিকের মেধাতালিকায় প্রথম দশে ১১৪ জন! বাঁকুড়া, বর্ধমানে জয়জয়কার, আর কলকাতা?
ইতিমধ্যেই মধ্যশিক্ষা পর্ষদের তরফে আগামী বছরের পরীক্ষার সূচি অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়েছে স্কুল শিক্ষা দফতরের কাছে। পর্ষদ সূত্রে খবর, সূচি অনুমোদিত হলেই আজই সাংবাদিক সম্মেলনে তা ঘোষণা করা হতে পারে। সে ক্ষেত্রে ফেব্রুয়ারির শেষ সপ্তাহ থেকেই আগামী বছরের মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু করতে চায় পর্ষদ। ২০২২-এর তুলনায় পরীক্ষার সময়সীমা খানিকটা এগিয়ে আনতে চায় মধ্যশিক্ষা পর্ষদ।