তবে, এদিন মোবাইলে প্রশ্নপত্রের ছবি তোলা বা প্রশ্নপত্র বাইরে পাচার কিংবা সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়ানোর কোনও ঘটনা ঘটেনি বলে দাবি করেছেন পর্ষদ সভাপতি। এদিনও পরীক্ষা কেন্দ্রের ভেতর পরীক্ষা চলাকালীন মোবাইল ফোন আটক হওয়ার ঘটনায় শীর্ষে মালদহ। শুধু মালদহেই চারটি মোবাইল ফোন এবং একটি স্মার্ট ওয়াচ আটক হয়েছে। মালদহে সাংবাদিক বৈঠকে জানালেন পর্ষদ সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায়। মঙ্গলবার দিনভর ‘স্পর্শকাতর’ মালদহে ছিলেন মধ্যশিক্ষা পর্ষদ সভাপতি। অন্তত পাঁচটি স্কুলে পৌঁছে সরেজমিনে পরীক্ষা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখেন তিনি। মালদহের একটি স্কুলে পরীক্ষার হলে মোবাইল সহ ধরা পড়া এক পরীক্ষার্থীর সঙ্গে নিজেও ব্যক্তিগতভাবে কথা বলেন পর্ষদ সভাপতি। তবে, ঠিক কী কারণে ওই পরীক্ষার্থী মোবাইল নিয়ে পরীক্ষার হলে এসেছে এবিষয়ে সদুত্তর মেলেনি বলে জানিয়েছেন তিনি।
advertisement
জানা গেছে, এদিন মালদহ ছাড়াও দক্ষিণ কলকাতার লেক স্কুল ফর গার্লস। উত্তর চব্বিশ পরগনার রাইগাছিয়া হাইস্কুলেও মোবাইল সহ পরীক্ষা কেন্দ্রে পরীক্ষার্থী ধরা পড়া ঘটনা ঘটেছে। এছাড়া তল্লাশি করতে গিয়ে একাধিক স্কুল থেকে শৌচালয়ে লুকিয়ে রাখা মোবাইল ফোনও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
পর্ষদ সভাপতি এদিন মালদহে বলেন, ‘‘এখনও পর্যন্ত প্রশ্নপত্রে কিউআর কোড ব্যবস্থা চালু করার সিদ্ধান্ত সফল। এখন বোঝা যাচ্ছে এই সিদ্ধান্ত সঠিক ছিল। কিউআর কোড নিয়ে এত আলোড়ন বা সচেতনতা তৈরি হবে এমনটা আগে পর্ষদ ভাবেনি। কিউআর কোড চালু করার প্রথম উদ্দেশ্য ছিল পর্ষদকে কালিমালিপ্ত করার প্রচেষ্টা রোখা।’’ তবে বিভিন্ন জেলায় ঘুরতে গিয়ে দেখা গিয়েছে, অনেক অংশের মানুষ এই প্রক্রিয়ায় সায় দিয়েছেন। সম্ভবত কিউআর কোড চালুতে স্বার্থ ক্ষুণ্ণ হওয়ায় অনেকে নানা অপ্রাসঙ্গিক প্রশ্ন এবং অভিযোগ তুলছেন বলেও এদিন মন্তব্য করেছেন পর্ষদ সভাপতি।
তিনি আরও বলেন, ‘‘আমরা পর্ষদ যে কোনওরকম তদন্তের মুখোমুখি হতে প্রস্তুত। পরীক্ষা ব্যবস্থা থেকে শুরু করে নিয়োগ এবং খরচ সবটাই নিয়ম মেনে করা হচ্ছে। যে গুটিকতক প্রশ্নপত্র বাইরে ছড়ানোর চেষ্টা হচ্ছে তার পেছনে বাইরের শক্তি বা চক্র রয়েছে৷’’ তবে, এই চক্র সম্পর্কে স্পষ্ট করে তিনি কিছু বলতে চাননি। বিষয়টি সময়সাপেক্ষ এবং পুলিশ তদন্ত করছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
Sebak Deb Sharma