মাতার দরবারে পাওয়া এই চুড়িগুলির সাহায্যে রাজস্থানের লক্ষ্মী কুম্ভ অর্থাৎ কলা দেবীর লক্ষ্মী মেলায় উত্তরপ্রদেশ সহ বহু প্রদেশের হাজার হাজার পরিবারের কর্মসংস্থানও হয়।
দেবী কলা মায়ের- লক্ষ্মী মেলায় আগ্রা থেকে আসা এক নারী ভক্ত সুষমা দেবী জানান, ‘‘প্রতি বছর আমরা মায়ের আশীর্বাদ হিসেবে এই চুড়িগুলো পরে মাতার দরবারে যাই। এখানে বিবাহিত মহিলা, ছোট মেয়ে এবং সমস্ত বৃদ্ধ মহিলারা মাতার প্রসাদী হিসাবে এই সবুজ চুড়িগুলি পরেন। মহিলা বলেন, কেউ যদি চুড়ি না পরে মায়ের দরবারে যায়, তবে মা তাঁদের ওপর নিজের আশীর্বাদ বর্ষণ করেন না৷’’
advertisement
মধ্যপ্রদেশের গোয়ালিয়র শহর থেকে দেবী কলা মাকে দেখতে আসা নারী ভক্ত গীতা বশিষ্ঠ জানিয়েছেন যে , ‘‘প্রতিটি ছোট মেয়ে এবং মহিলা এই চুড়ি পরে মায়ের দরবারে যায়। বলা হয়, মেয়ে বা নারী যে কেউই হোক না কেন চুড়ি পরে মায়ের দরবারে যায়। তাঁদের দাম্পত্যের মধুচন্দ্রিমা সবসময়ে টিকে থাকে।’’ তিনি জানান, বহু বছর ধরে মাতার দরবারে এই প্রথা চলে আসছে।
আরও পড়ুন - IMD South Bengal Weather Alert|| আবহাওয়ার বিরাট পরিবর্তন , রয়েছে কমলা সর্তকতা জারি!
মায়ের দরবারে আশীর্বাদ হিসেবে পরা এসব সবুজ ও লাল চুড়ি লক্ষ্মী মেলায় হাজার হাজার পরিবারের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে। এমনকি এই মেলায় উত্তরপ্রদেশে থেকে অনেক মুসলিম ভক্তও এখানে আসেন এবং দূরদূরান্ত থেকে আসা ভক্তদের এই চুড়িগুলো পরিয়ে দেন।
দেবী কলা মায়ের মেলায় ভক্তদের চুড়ি পরিয়ে দেন এমন ব্যবসায়ী মুকেশ জাটব জানান, ‘‘ফিরোজাবাদের এই লাল-সবুজ চুড়িগুলো পাঁচ হাজার লোকের কর্মসংস্থান করে। এই মেলায় চুড়ি পরতে মথুরা, হাতরাস, আলিগড় এবং আগ্রা, ফিরোজাবাদ থেকে ব্যবসায়ীরা আসেন।’’