তামিলনাড়ুর ভেল্লোর জেলার বিনাভামঙ্গলম গ্রামে জন্ম জয়গণেশের। আশৈশব যুদ্ধ দারিদ্রের সঙ্গে। স্থানীয় কারখানায় কাজ করে কোনওরকমে দিন গুজরান করতেন তাঁর বাবা। গ্রামবাসীদের দুর্দশা জয়গণেশকে কষ্ট দিত। তখন থেকেই ভাবতেন কী করে একদিন তাঁদের পাশে দাঁড়ানো যায়।
অভাবের সঙ্গে লড়াই করে গ্রামের স্কুল থেকেই দশম শ্রেণী পাশ করেন তিনি। এর পর পলিটেকনিক কলেজ, তাঁথি পেরিয়ার ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি থেকে পাশ করেন মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং। পড়াশোনা শেষ করার পর চাকরি পেতে সময় লাগেনি। প্রতি মাসে বেতন পেতেন ২,৫০০ টাকা।
advertisement
এই সামান্য বেতনে বেশিদিন চলবে না, তিনি বুঝতে পেরেছিলেন। চাকরি ছেড়ে দিয়ে ইউপিএসসি পরীক্ষার প্রস্তুতি শুরু করেন। কিন্তু ৬ বার পরীক্ষা দিয়েও ব্যর্থ হন। পরিবর্তে তিনি ইন্টেলিজেন্স ব্যুরোতে চাকরি পান। একইসঙ্গে চলতে থাকে ইউপিএসসি পরীক্ষার প্রস্তুতি। সংসারের হাল ধরতে তিনি রেস্তরাঁয় ওয়েটারের চাকরিও করেন।
দীর্ঘ অধ্যবসায়ের পর অবশেষে ২০০৮ সালে তিনি প্রতীক্ষিত স্বপ্ন স্পর্শ করেন। তাঁর কথায়, ‘‘অবশেষে যখন রেজাল্ট প্রকাশিত হল, আমি নিজেকেই বিশ্বাস করতে পারিনি। ৭০০ জন নির্বাচিতের মধ্যে আমার স্থান হয়েছিল ১৫৬ নম্বরে। বুঝতে পেরেছিলাম এ বার আইএএস অফিসার হতে পারব। দীর্ঘ যুদ্ধের পর স্বপ্ন ছুঁতে পেরে বেশ হাল্কা বোধ করছিলাম।
আরও পড়ুন : নতুন বছরের প্রথম পূর্ণিমা কবে? দোলপূর্ণিমা, বুদ্ধপূর্ণিমার দিনক্ষণ ও নির্ঘণ্ট জানুন
গ্রামের বাসিন্দাদের কাছে জয়গণেশ এখন নায়ক। তাঁদের দুঃখ দুর্দশার শরিক হতে পেরে খুশি এই তরুণ নিজেও।