এক্ষেত্রে নতুন এই পোর্টালের মাধ্যমে বদলির আবেদনের জন্য একাধিক নিয়ম তৈরি করেছে রাজ্য।এক্ষেত্রে
১) নিজের বিদ্যালয় অন্ততপক্ষে পাঁচ বছর কাজ করেছেন তিনি আবেদন করতে পারবেন বদলির জন্য।
২) বর্তমান বিদ্যালয়ের ২৫ কিলোমিটারের মধ্যে অবস্থিত কোন বিদ্যালয় সেকেন্ডারি ক্ষেত্রে এবং নিজের চক্রের মধ্যে অন্য কোন বিদ্যালয় প্রাইমারির ক্ষেত্রে বদলির আবেদন করা যাবে না।
advertisement
৩) বদলির নির্দেশ অগ্রাহ্য করলে সাত বছরের মধ্যে পুনরায় আবেদন করা যাবে না।
এক্ষেত্রে অনেক সময় অভিযোগ ওঠে বদলির আবেদন করার জন্য স্কুলের থেকে নো অবজেকশন সার্টিফিকেট পাওয়া যায় না। রাজ্য স্কুল শিক্ষা দফতর সূত্রে খবর এক্ষেত্রে নো অবজেকশন কোন স্কুল না দিলে সুয়োমোটো করে স্কুল শিক্ষা দপ্তর প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে পারে। এ প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে শিক্ষা মন্ত্রী বলেন " রবিবার মধ্যরাত থেকেই এই পোর্টাল চালু করে দেওয়া হবে। বদলির ক্ষেত্রে দূরত্বকেই অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।" অন্যদিকে মিউচুয়াল ট্রান্সফারে এবং জেনারেল ট্রান্সফারের জন্য কিভাবে আবেদন করতে হবে সে বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়েছে স্কুল শিক্ষা দপ্তর।
মিউচুয়াল ট্রান্সফারের ক্ষেত্রে ম্যাচিং পেয়ার পাওয়ার পর অনুরোধ পাঠাতে হবে এবং তা গৃহীত হলে জয়েন্ট অ্যাপ্লিকেশন অনলাইনে জমা করতে হবে বিবেচনার জন্য। সেক্ষেত্রে ম্যাচিং পেয়ার জানা না থাকলে আবেদনকারী মিউচুয়াল ট্রান্সফারে আবেদন অনলাইনে জমা করবেন ফলে অন্য আবেদনকারীরা অনলাইনে দেখতে পাবেন।
জেনারেল ট্রান্সফারের ক্ষেত্রে বেশ কিছু নিয়ম জানিয়েছে স্কুল শিক্ষা দপ্তর।
১) এক্ষেত্রে শিক্ষক-শিক্ষিকারা ইউনিক আইডি ব্যবহার করে তিনটি সম্ভাব্য বিদ্যালয়ের নাম উল্লেখ করে জমা দিতে পারবেন। আবেদনটি অনলাইনেই প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকের ক্ষেত্রে পৌঁছাবে অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক এর কাছে এবং মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকের ক্ষেত্রে প্রধান শিক্ষকের কাছে।
২) ভেরিফিকেশন করে প্রাথমিক শিক্ষকের আবেদনটি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদ এবং মাধ্যমিক শিক্ষক এর আবেদনটি জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক এর কাছে পৌঁছাবে।
৩) অন্য জেলায় আবেদনের ক্ষেত্রে প্রাথমিক শিক্ষকের আবেদনটি বিবেচনা পূর্বক প্রাইমারি বোর্ড এবং মাধ্যমিক শিক্ষক এর ক্ষেত্রে আবেদনটি স্কুল সার্ভিস কমিশনে পাঠানো হবে।
৪) সবশেষে প্রাথমিক শিক্ষকের ট্রান্সফার অর্ডার প্রাইমারি বোর্ড থেকে এবং মাধ্যমিক শিক্ষকদের বদলির নির্দেশ স্কুল সার্ভিস কমিশন জারি করবে।
এই এই পোর্টাল সঠিকভাবে কাজ করছে নাকি তার জন্য কুড়ি জন আধিকারিক নজরদারিতে থাকবেন বলেও জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। সে ক্ষেত্রে এক মাসের মধ্যেই বদলির আবেদন নিস্পত্তি করা হবে বলেও এ দিন জানান তিনি।
সোমরাজ বন্দ্যোপাধ্যায়।