স্কুল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান জানান, "সাত দিন বাদেই ইন্টারভিউ প্রক্রিয়া শুরু করা হবে। আমরা এই বিষয় নিয়ে পরিকল্পনা করছি। করোনা পরিস্থিতির জন্য কিছু কিছু ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ রয়েছে এখনও। আমরা এই বিষয় নিয়ে আলাপ আলোচনা চালাচ্ছি।" চেয়ারম্যান আরও জানান, "চাকরী প্রার্থীরা যে অভিযোগ জানাবেন তার জন্য একটি নির্দিষ্ট ই-মেইল আইডি দেওয়া হবে। সেই আইডি মঙ্গলবারের মধ্যেই দিয়ে দেওয়া হবে। তারপর থেকে হাইকোর্টের নির্দেশ মত ১৪ দিন তাদের অভিযোগ জানাতে পারবেন।" শুধু তাই নয় ইতিমধ্যেই যারা কমিশনের কাছে লিখিতভাবে বা চিঠি পাঠাচ্ছেন তাদের অভিযোগগুলিও গ্রহণ করা হচ্ছে বলেও চেয়ারম্যান জানিয়েছেন।
advertisement
শুক্রবার স্কুল সার্ভিস কমিশনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে একাধিক চাকরিপ্রার্থী বিক্ষোভ করেন। অভিযোগ, ডকুমেন্টস আপলোড না হওয়ার কারণ দেখিয়ে ইন্টারভিউ তালিকা থেকে তাঁদের নাম বাতিল করা হয়েছে। কিন্তু স্কুল সার্ভিস কমিশনের তরফে বলা হয়েছিল ডকুমেন্টস আপলোড না হলে তা ই-মেইল মারফত জানানো হবে। কিন্তু এ ক্ষেত্রে কোন ই-মেইল করা হয়নি বলে দাবি চাকরিপ্রার্থীদের। এ প্রসঙ্গে কমিশনের চেয়ারম্যান বলেন, "যারা বঞ্চিত হয়েছেন হাইকোর্টের নির্দেশ মতো শুনানি হবে। তার জন্য স্কুল শিক্ষা দফতরের তরফে আমরা সচিব পর্যায়ের আধিকারিকদের চেয়েছি। একজন একজন করেই শুনানি হবে হাইকোর্টের নির্দেশ মতো।" সে ক্ষেত্রে যদি কমিশনের কোনও গাফিলতি হয়ে থাকে তারপর কমিশন আইন মতো সেই প্রার্থীকে সুযোগ দেবে।
তবে হাইকোর্টের নির্দেশ মতো প্যানেল বা মেধাতালিকা প্রকাশ করতে কোনও বাধা নেই বলেও এ দিন চেয়ারম্যানের ইঙ্গিত। তিনি বলেন, "একদিকে যেমন অভিযোগ নেওয়ার প্রক্রিয়া চলবে, তেমনই নিয়োগ প্রক্রিয়া চলবে। যে বিষয়গুলির ক্ষেত্রে অভিযোগ কম আসবে সেই বিষয়গুলির প্যানেল বা মেধাতালিকা প্রকাশ করার দিকেই আমরা এগোবো।"
শুক্রবার হাইকোর্ট নির্দেশে জানিয়েছে, ১২ সপ্তাহের মধ্যে চাকরিপ্রার্থীদের যাবতীয় অভিযোগের নিষ্পত্তি করতে হবে। এ ক্ষেত্রে কমিশন আশা সময়ের আগেই যাবতীয় অভিযোগের নিষ্পত্তি হয়ে যাবে। কমিশন সূত্রে খবর ১৭ জুলাইয়ের পর থেকেই ইন্টারভিউ শুরু করা হতে পারে। এ ক্ষেত্রে কোথায় ইন্টারভিউ নেওয়া হবে সেই বিষয়ে আলাপ-আলোচনা চালানো হচ্ছে।
সোমরাজ বন্দ্যোপাধ্যায়