কটকে (Cuttack) সংবাদমাধ্যমকে ওড়িশা পুলিসের ডিজি অভয় (Abhay) বলেন, “আমি যোগ্য মহিলাদের এবং পুরুষদেরকে রাজ্যের জনগণের সেবার জন্য ওড়িশা পুলিশে কনস্টেবল এবং সাব ইন্সপেক্টর হিসাবে যোগদানের জন্য আমন্ত্রণ জানাচ্ছি। এছাড়াও, প্রথমবারের মতো ট্রান্সজেন্ডাররাও এই উভয় পদে আবেদন করতে পারবেন।” তবে বিশেষভাবে সক্ষম ব্যক্তিরা এই পদে আবেদন করতে পারবেন না। পুলিশের মূলত টেকনিকাল বিভাগে কনস্টেবলের নিয়োগ হবে বলেও তিনি জানান।
advertisement
সাব ইন্সপেক্টর পদে ন্যূনতম যোগ্যতা স্নাতক হলেই হবে অন্যদিকে কনস্টেবলের পদে জন্য কম্পিউটার অ্যাপ্লিকেশনে ডিপ্লোমা থাকা আবশ্যক। কম্পিউটার-বেসড্ পরীক্ষা ছাড়াও শারীরিক ও দক্ষতামূলক পরীক্ষাতেও বসতে হবে প্রার্থীদের। ইতিমধ্যেই ওড়িশা সরকারের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে বিভিন্ন মহলের মানুষ। সমাজে তৃতীয় লিঙ্গের ব্যক্তিদের প্রতি অন্যদের মনোভাবে বদল আনতেই ও তৃতীয় লিঙ্গের ব্যক্তিদের মনোবল জোগাতে ওড়িশা সরকারের এই পদক্ষেপ বলে জানা গিয়েছে। ওড়িশা সরকার এর আগে তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের জেল ওয়ার্ডার হিসাবে নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল তবে এখনও সে বিজ্ঞাপন জারি করা হয়নি। ওড়িশার ট্রান্সজেন্ডার সংস্থা ওড়িশা পুলিশের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে এবং মুখ্যমন্ত্রী নবীন পাটনায়েককেও(Naveen Patnaik)
ধন্যবাদ জানায়। ট্রান্সজেন্ডার মহাসংঘের প্রতিষ্ঠাতা প্রতাপ কুমার সাহু(Pratap Kumar Sahu) বলেন “প্রথমবারের মতো, রাজ্যে সরকারী চাকরিতে তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের কাছ থেকে আবেদন চেয়ে একটি বিজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। বাহিনীতে তৃতীয় লিঙ্গের লোককে অন্তর্ভুক্ত করা কেবল এই সম্প্রদায়ের আস্থা বৃদ্ধি করবে না, সেই সঙ্গে তাঁদের প্রতি সমাজের ধারণাকেও বদলে দেবে।” মহাসংঘ অবশ্য মুখ্যমন্ত্রীকে শারীরিক পরীক্ষায় এই সম্প্রদায়ের আবেদনকারীদের কিছুটা শিথিল করার জন্য অনুরোধ করেছিলেন কারণ প্রার্থীদের মধ্যে অনেকেই দৌড়াদৌড়ি এবং অন্যান্য শারীরিক কর্মকাণ্ডে পুরুষ এবং মহিলাদের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন না। সাহু আরও জানান যে, তামিলনাড়ু (Tamil Nadu) ও রাজস্থানের (Rajasthan) মতো রাজ্যগুলি ইতিমধ্যে তাদের পুলিশ বাহিনীতে ট্রান্সজেন্ডারদের নিয়োগ করে উদাহরণ তৈরি করেছে।
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে, সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের স্বীকৃতি দিয়ে সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত মৌলিক অধিকারের উপর তাঁদের সমান সুযোগ সুবিধার অধিকার দিয়েছে।