প্রসঙ্গত শুক্রবার ই কলকাতা হাই কোর্ট উচ্চ প্রাথমিক এর ইন্টারভিউ প্রক্রিয়ার ওপর স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করেছে। তার জেরে ইতিমধ্যে স্কুল সার্ভিস কমিশন ইন্টারভিউ নেওয়ার বিষয় নিয়ে তৎপরতা শুরু করেছে। শুক্রবার এর কলকাতার হাইকোর্টের রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে এদিন শিক্ষা মন্ত্রী বলেন " আদালতকে ধন্যবাদ জানাবো। আজকেই স্কুল সার্ভিস কমিশন একটি প্রেস কনফারেন্স করবে। কী ভাবে ওরা ইন্টারভিউ নেবে সেই বিষয়ে বিশদে জানিয়ে দেবে।"
advertisement
দীর্ঘ ৭ বছর ধরে স্কুল সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে উচ্চ প্রাথমিকে নিয়োগ প্রক্রিয়া আটকে রয়েছে। একাধিকবার আইনি জটিলতার মুখে পড়েছে এই নিয়োগ প্রক্রিয়া। শুধু তাই নয় উচ্চ প্রাথমিক এর ইন্টারভিউ লিস্ট প্রকাশ নিয়েও অস্বচ্ছতার অভিযোগ উঠেছে। এই প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন " অস্বচ্ছতার অভিযোগগুলো উঠেছে এগুলোর ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে পলিটিক্যাল জায়গা থেকে বেশি মামলা হয়েছে। যাতে গতি শ্লথ করে দেওয়া হয়। এইগুলো ঠিক নয়। মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন স্বচ্ছতার সঙ্গে নিয়োগ হবে। আমরা সেই স্বচ্ছতার সঙ্গেই নিয়োগ করব।"
অন্যদিকে পুজোর আগেই প্রাথমিকের টেটের ফল প্রকাশ করা হবে বলেও খবর। সম্প্রতি প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য এমনটাই জানিয়েছেন। শুধু তাই নয় সুপ্রিমকোর্ট সম্প্রতি প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ ও রাজ্য সরকারকে প্রাথমিকের টিচার এলিজিবিলিটি টেস্ট নেওয়া নিয়ে নির্দেশ দিয়েছে। সেক্ষেত্রে শিক্ষামন্ত্রী শনিবারের ঘোষণাকে অত্যন্ত ইতিবাচক বলে মনে করছেন চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ।
প্রত্যেক বছর এসএসসি নেওয়ার ঘোষণা কে চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ ইতিবাচক বলে মনে করছে। গত কয়েক বছরে বারবার এসএসসি নিয়ম আইনি জটিলতায় আটকে গেছে। রাজ্যের তরফে এই ঘোষণা করা হলেও বারবার কেন আদালতের কাছে গিয়ে পড়ছে এসএসসি তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ। অন্যদিকে উচ্চ প্রাথমিক এর মামলা সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত যেতে পারে সেই আশঙ্কাতেই সুপ্রিম কোর্টে ক্যাভিয়েট দাখিল করেছে স্কুল সার্ভিস কমিশন, এমনটাই সূত্রের খবর। এই বিষয় নিয়ে বলতে গিয়ে এদিন শিক্ষা মন্ত্রী বলেন "আমরা নিয়োগ প্রক্রিয়া চাই তাই ক্যাভিয়েট দাখিল করা হয়েছে। আদালতকে জানিয়েই আমরা সবকিছু করতে চাই।"
সোমরাজ বন্দ্যোপাধ্যায়