বুধবার ঝাড়গ্রাম আইটিআইতে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের টেকনিক্যাল এডুকেশন দফতরের পশ্চিমবঙ্গ সোসাইটি ফর স্কিল ডেভেলপমেন্টের আয়োজনে জব ফেয়ার অনুষ্ঠিত হয়। জেলার ঝাড়গ্রাম, বিনপুর ১ ,বিনপুর ২, নয়াগ্রাম ,গোপীবল্লভপুর ২ এই পাঁচটি আইআইটি, উৎকর্ষ বাংলার ট্রেনিংপ্রাপ্ত ছাত্রছাত্রীরা, ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর পলিটেকনিক কলেজ এবং রাজা রঞ্জিত কিশোর পলিটেকনিক কলেজ পাস করা ছাত্র-ছাত্রী-সহ জেলায় ৪৬ টি ভোকেশনাল ট্রেনিংযুক্ত স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীরা জব ফেয়ারে অংশগ্রহণ করে। এরপর তাদের যোগ্যতা এবং অভিজ্ঞতা যাচাইয়ে হাতে নাতে মেলে অফার লেটার। জানা গিয়েছে, এদিন অনলাইন ও অফলাইন মাধ্যমে মোট ৩৭৪ জন প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত চাকরিপ্রার্থী জব ফেয়ারে অংশগ্রহণ করেছিল। কর্মী নিয়োগের জন্য জব ফেয়ারে হাজির হয়েছিল রশ্মি ওড়িশা মেট্যালিক স্টিল এবং পাওয়ার, এলএনটি, ধুলাগড় ও পূর্ব মেদিনীপুরের দু’টি গার্মেন্ট ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানি, রাইস মিল, পোল্ট্রি ফার্ম এবং ঝাড়গ্রাম ট্যুরিজম অ্যাসোসিয়েশন-সহ মোট ১৯ টি সংস্থা।
advertisement
জানা গিয়েছে, লিখিত পরীক্ষা এবং ইন্টারভিউর মাধ্যমে ইলেকট্রিক, ওয়েল্ডার, ফিটার, জেনারেল ওয়ার্কার এবং পর্যটন ক্ষেত্রে ম্যানেজার, হাউসকিপিং এই সমস্ত পদে কর্মপ্রার্থীদের সিলেকশন এবং শর্ট লিস্ট করা হয়। প্রতিমাসে ন্যূনতম দশ হাজার থেকে ত্রিশ হাজার টাকা বেতনের ভিত্তিতে ৬৯ জনকে বিভিন্ন সংস্থা বাছাই করে নিয়োগপত্র হাতে তুলে দিয়েছে। চাকরি পেয়ে খুশি সকলে। বাঁকশোলের বাসিন্দা মিঠু মাহাতো চাকরি পাওয়ার পর বলেন, ‘জব ফেয়ারে অংশগ্রহণ করে ঝাড়গ্রামের একটি রিসর্টে রিসেপশনিস্টের পদে নিয়োগপত্র হাতে পেয়েছি। অনেকদিন থেকে কর্মের সন্ধানে ছিলাম তা পূরণ হওয়ায় খুবই ভাল লাগছে।’ এদিনের জব ফেয়ারে হাজির ছিলেন ঝাড়গ্রাম জেলা পরিষদের সভাধিপতি চিন্ময়ী মারান্ডী, অতিরিক্ত জেলাশাসক (জেলা পরিষদ) দিলীপ মিশ্র, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপারেশন) গুলাম সারওয়ার-সহ জেলার শ্রম দফতর, কর্ম বিনিয়োগ কেন্দ্র, জেলা শিল্প কেন্দ্র ও উৎকর্ষ বাংলার আধিকারিকরা।
চিন্ময়ী মারান্ডী বলেন,’ জঙ্গলমহলের প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত যুবক-যুবতীদের চাকরি পাইয়ে দেওয়ার জন্য জব ফেয়ারের আয়োজন করা হয়েছিল। ১৯ টি সংস্থা অংশগ্রহণ করে তাঁদের কর্মী নিয়োগ করেছে। আগামী দিনের আরও বেশি সংখ্যক ছেলে-মেয়েকে প্রশিক্ষণ দিয়ে স্বনির্ভর করে তোলায় লক্ষ্য রয়েছে আমাদের’। স্বাভাবিকভাবে অন্যান্য মেলার পাশাপাশি এই চাকরি মেলা জঙ্গলমহলের আগামী অর্থনীতি এবং চাকরির ক্ষেত্রে নতুন দিশা দেখাবে।
