সেই রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘‘বিভিন্ন সময়ে র্যাগিংয়ের ঘটনায় পড়ুয়াদের শাস্তি দেওয়া হয়নি। তা দিলে এই ধরনের ঘটনা আটকানো যায়।” তদন্ত কমিটির পূর্ণাঙ্গ রিপোর্টে এমনটাই উল্লেখ। পাশাপাশি বলা হয়েছে, ‘‘পড়ুয়াদের ওপর বারবার কর্তৃপক্ষ নরম মনোভাব দেখিয়েছে। বিভিন্ন সময়ে অ্যান্টি র্যাগিং কমিটির রিপোর্টে পড়ুয়াদের শাস্তি সুপারিশ দেওয়া হলেও তা কার্যকর হয়নি।” সব মিলিয়ে তদন্ত কমিটি রিপোর্টে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের নরম মনোভাবকেই দায়ী করা হয়েছে।
advertisement
তদন্ত কমিটির রিপোর্ট শীঘ্রই অ্যান্টি র্যাগিং কমিটির বৈঠকে পেশ করা হবে। তারপরেই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। আজ সন্ধ্যাবেলায় ইমেল করে রিপোর্ট জমা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০ সদস্যের তদন্ত কমিটি।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেলে এক প্রথম বর্ষের পড়ুয়ার মৃত্যুর ঘটনায় কার্যত তোলপাড় পড়ে গিয়েছিল গোটা দেশে৷ তার পর থেকেই ক্রমাগত এই নিয়ে বিতর্ক চলতেই থাকে৷ বিভিন্ন মহল থেকে অভিযোগ করা হয়, এমন র্যাগিংয়ের ঘটনা আগেও বিশ্ববিদ্যালয়ে ঘটেছে, সে ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করেনি কর্তৃপক্ষ৷ বিশ্ববিদ্যালয় গোটা ঘটনার তদন্তে একটি কমিটি তৈরি করে৷ সেই কমিটির রিপোর্টেও দেখা গেল, এই অভিযোগ অনেকটাই সত্যি৷