যাদবপুরের ছাত্র মৃত্যু মামলায় প্রথম গ্রেফতার হয় সৌরভ চৌধুরী। জানা গিয়েছে সৌরভ ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র। এ পর্যন্ত এই মামলায় ১২ জন গ্রেফতার হয়েছে। তাদের মধ্যে বেশ কয়েকজন প্রাক্তন আবার বেশ কয়েকজন বর্তমানের ছাত্র। হস্টেলে ছোটদের উপর শারীরিক, মানসিক, যৌন নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। ছাত্রদের একাংশের দাবি, এমনটা নাকি সাধারণত হয়েই থাকে। এটা নিয়ে এর আগেও অনেকবার নানাভাবে অভিযোগ হলেও কোনওভাবে কোন পদক্ষেপ হয়নি।
advertisement
মনোবিদদের অনেকের মতে, শৈশবের থেকে কৈশোর পর্যন্ত পরিবারের শিক্ষা, পরিবারের শাসন অনেকক্ষেত্রে ব়্যাগিংএর মতো সামাজিক ব্যাধির পিছনে। আরেকটি কারণ উঠে আসছে তদন্তে, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদের সংঘবদ্ধ আন্দোলন। যেটা বেশিরভাগ ছাত্রছাত্রীদের মনে অসম্ভব শক্তি এনে দেয়। যার ফলে হস্টেলের ভেতরে শাসন কোনদিন তাদের দমাতে পারেনি।
ঘটনা নিয়ে অনেকেই মুখ খুলেছেন। কেউ কেউ বলছেন হস্টেল সুপার কিংবা ডিন অফ স্টুডেন্টের কোনও ক্ষমতা ছিল না ওই ছাত্রদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেয়। তাতে নাকি প্রশাসকদের মারধর করার মতো পরিস্থিতি তৈরি হত।
আরও পড়ুন: ৫০০ টাকায় ১ কেজির ইলিশ…! জালে উঠেছে ঝাঁকে ঝাঁকে রূপালী শস্য! জানেন কোথায়?
হস্টেলের ভেতরে গন্ডগোল হচ্ছে, অথচ অভিযোগ, সেখানে নাকি হস্টেল সুপারকেই যেতে দেওয়া হয়নি। রীতিমতো ভয় দেখানো হয়েছে। এমনকি প্রাণ সংশয়ের নাকি সম্ভাবনা ছিল বলে দাবি তাঁর। এক ছাত্রের প্রাণ গিয়ে অনেক সত্য যেন উঠে আসছে একের পর এক এই প্রথম সারির নামি বিশ্ববিদ্যালয়ের অলিন্দে। এদিকে ঘটনার পরে প্রথম বর্ষের পড়ুয়ারা ও দ্বিতীয় বর্ষের বেশিরভাগরা ভয়ে থাকতে চাইছেন না হস্টেলে। অনেকে বলছেন, এই মুহূর্তে অত্যাচারী ছাত্ররা চুপ করে গেলেও। ভবিষ্যৎ কিন্তু আবার রূপ বদলানোর আশঙ্কা।