এই অনুষ্ঠানটি ভারতের শীর্ষস্থানীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং জাতীয় মহাকাশ সংস্থার মধ্যে সমন্বয় বৃদ্ধির ক্ষেত্রে একটি উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হবে। আসলে মহাকাশ প্রযুক্তিতে গবেষণা-ভিত্তিক অগ্রগতির উপর আলোকপাত করাই হল এর অন্যতম প্রধান লক্ষ্য। এই কনফ্লুয়েন্সের উদ্বোধন করেছেন মহাকাশ বিভাগের সচিব তথা ISRO-র চেয়ারম্যান ও ভারত সরকারের মহাকাশ কমিশনের চেয়ারম্যান ড. ভি. নারায়ণন।
advertisement
উদ্বোধনী অধিবেশনে উপস্থিত ছিলেন ISRO-র সায়েন্টিফিক সেক্রেটারি শ্রী এম. গণেশ পিল্লাই; ISRO-র ক্যাপাসিটি বিল্ডিং অ্যান্ড পাবলিক আউটরিচ (CBPO) ডিরেক্টর শ্রী জি. হরিকৃষ্ণণ; আইআইটি খড়গপুরের ডিরেক্টর অধ্যাপক সুমন চক্রবর্তী; আইআইটি খড়গপুরের ডিন (R&D) অধ্যাপক রবিব্রত মুখোপাধ্যায় এবং আইআইটি খড়গপুরের কল্পনা চাওলা স্পেস টেকনোলজি সেল (কেসিএসটিসি)-এর এসটিসি কনভেনর ও চেয়ারপার্সন অধ্যাপক দেবারতি সেন প্রমুখরা। তাঁদের পাশাপাশি ইসরো এবং বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বেশ কিছু বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বও যোগ দিয়েছিলেন এই অনুষ্ঠানে।
প্রায় তিন দশক ধরে ইসরো এবং ভারত সরকারের মহাকাশ বিভাগ দ্বারা প্রতিষ্ঠিত এবং পরিচালিত স্পেস টেকনোলজি সেলস সারা দেশের ৯টি শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠানে কার্যকর রয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম হল – আইআইটি খড়গপুর, আইআইটি মাদ্রাজ, আইআইটি দিল্লি, আইআইটি বোম্বে, আইআইটি কানপুর, আইআইটি গুয়াহাটি, আইআইটি রুরকি, আইআইএসসি বেঙ্গালুরু এবং পুণের সাবিত্রীবাঈ ফুলে পুণে বিশ্ববিদ্যালয়। এই এসটিসি-গুলি মহাকাশ-সংক্রান্ত প্রযুক্তির ক্ষেত্রে উদ্ভাবন চালিয়ে নিয়ে যাওয়া এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও ইসরোর মধ্যে দীর্ঘমেয়াদি সমন্বয় বজায় রাখার জন্য একটি গবেষণা কেন্দ্র হিসাবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
২০১৯ সালে আইআইটি মাদ্রাজে অনুষ্ঠিত প্রথম বার ইসরো এসটিসি কনফ্লুয়েন্স অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপিত হয়েছিল। আর এবার আইআইটি খড়গপুরে এর ২০২৫ সংস্করণে এই সমস্ত প্রতিষ্ঠানের গবেষক, এসটিসি কনভেনর, ফ্যাকাল্টির সদস্য এবং প্রিন্সিপাল ইনভেস্টিগেটরদের সমাগম হয়েছিল। দুই দিনব্যাপী এই অনুষ্ঠানটি গবেষণার ফলাফল আদান-প্রদান, সাফল্যের কাহিনির বর্ণনা এবং এসটিসি গবেষণা ফলাফলের ইন্টিগ্রেশন এবং প্রয়োগের উপর আলোচনা করার জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম হিসেবে দারুণ ভূমিকা পালন করেছে।
আরও পড়ুন: রাজ্য সরকারের ঐক্যশ্রী স্কলারশিপের আবেদন শুরু, কতদিন চলবে? কারা পাবেন? বিশদে জানুন
সাম্প্রতিক অতীতে ইসরো-ফান্ডেড প্রকল্পগুলির মাধ্যমে অর্জিত সাফল্যের গল্প তুলে ধরাই এই অনুষ্ঠানের অন্যতম মূল আকর্ষণ ছিল। শুধু তা-ই নয়, এর পাশাপাশি জাতীয় মহাকাশ অভিযানের সঙ্গে একাডেমিক গবেষণার প্রভাবশালী ফলাফল প্রদর্শনও এই অনুষ্ঠানে স্থান পেয়েছিল। এছাড়াও এসটিসি কনভেনরদের গবেষণা প্রেজেন্টেশন, ফ্যাকাল্টির সদস্যদের মধ্যে আলাপ-আলোচনা এবং ইসরোর গবেষণা ফলাফলের কার্যকর ব্যবহারের উপর প্রিন্সিপাল ইনভেস্টিগেটরদের সঙ্গে আলোচনা অন্তর্ভুক্ত ছিল কনফ্লুয়েন্স অনুষ্ঠানের তালিকায়।
এই অনুষ্ঠানের ফাঁকেই আবার আইআইটি খড়গপুরের প্ল্যাটিনাম জয়ন্তী উদযাপনের জন্য সম্ভাব্য কোল্যাবোরেটিভ প্রোগ্রাম নিয়ে একটি অর্থবহ আলোচনায় অংশ নিয়েছিলেন ইসরোর চেয়ারম্যান ড. ভি. নারায়ণন এবং আইআইটি খড়গপুরের ডিরেক্টর অধ্যাপক সুমন চক্রবর্তী।
আরও পড়ুন: উচ্চ শিক্ষায় সরকারি স্কলারশিপ, মাধ্যমিক-HS-এর পর কত নম্বরে কোন স্কলারশিপ পাওয়া যায়? বিশদে জানুন
প্রসঙ্গত আগামী ১৮ অগাস্ট ২০২৫ তারিখ থেকে আগামী ১৭ অগাস্ট ২০২৬ তারিখ পর্যন্ত এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠার ৭৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে হতে চলেছে এই অনুষ্ঠান। ফলে এহেন এক ঐতিহাসিক মাইলফলক বছরে জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিগত লক্ষ্য অর্জনে উভয় প্রতিষ্ঠানের অভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি উঠে এসেছিল তাঁদের সেই আলাপচারিতায়।
এদিকে এমন গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় অভিযানে নিজেদের অবদান রাখতে পেরে আইআইটি খড়গপুরও যারপরনাই গর্বিত। ইসরো ও তাদের সমকক্ষ প্রতিষ্ঠানগুলির সঙ্গে অর্থবহ অংশীদারিত্বের মাধ্যমে অত্যাধুনিক মহাকাশ গবেষণা এবং উদ্ভাবনের বিষয়ে নিজেদের অঙ্গীকার আরও জোরদার করল আইআইটি খড়গপুর।
