সৃজনী জানান, ‘পরীক্ষা ভাল হয়েছিল। সায়েন্সের সব বিষয় নিয়ে নিশ্চিন্ত ছিলাম কিন্তু ইংরেজি নিয়ে একটু সংশয় ছিল। এতটা ভাল ফলাফল হবে ভাবিনি।’ সৃজনীর কোনও পদবি দেননি তাঁর অভিভাবক। খুবই প্রগতিশীল বাড়িতে বড় হয়ছেন। তাঁর মা গুরুদাস কলেজের ইতিহাস শিক্ষিকা এবং বাবা ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিস্টিক্যাল ইনস্টিটিউট কলকাতার গণিতের অধ্যাপক।
আরও পড়ুনঃ লাগবে না ওষুধ, অ্যাসিডিটি দূর করতে গরমে পাতে রাখুন এই সুপারফুডটি!ফাইবার-পটাশিয়ামের খনি!
advertisement
সৃজনী বলেন, ‘পড়াশোনার কোনও নির্দিষ্ট রুটিন ছিল না। দ্বাদশ শ্রেণীর প্রথম দিন থেকেই খুবই মন দিয়ে পড়াশোনা করেছি। আমি বাবার মতো গণিত অথবা পদার্থবিদ্যা-র মতো বেসিক সায়েন্স-এ গবেষণা করতে চাই। আমার পরের মাসে আইআইএসসি বেঙ্গালুরুর পরীক্ষা আছে। সেটাই আমার ফার্স্ট চয়েজ। তাছাড়া, আইআইএসইআর বা আইএসআই কলকাতা-র পরীক্ষাগুলোও আমি দেব।’
শুধু পড়াশোনা নয়, ছোট থেকেই দিদির সঙ্গে কাঁধে কাঁধে মিলিয়ে শিখেছে নাচ। সৃজনী বলেন, ‘সারাদিন পড়াশোনা পর ডিনার টাইমে বাবা-মায়ের সঙ্গে আড্ডা মারতাম। আমি বাবা, মা, দিদি তিনজনই প্রতিদিন ডিনারের সময় কোনও না কোনও ওয়েব সিরিজ বা সিনেমা দেখতাম। তবে, সেটা ২০-৩০ মিনিটের জন্য। সারাদিন বসে পড়তে পড়তে ক্লান্ত হয়ে গেল ছাদে গান শুনতে শুনতে হাঁটতাম।’
আরও পড়ুনঃ একটি পান পাতায় দূর হবে কোলেস্টেরল-সুগার…! শুধু খেতে হবে এই ‘একটি’ নিয়ম মেনেই
তবে, ক্লাস ১২-এর প্রথমেই সব সোশ্যাল মিডিয়া ফোন থেকে আনইন্সটল করে দিয়েছিল সৃজনী। তাঁর কথায়, ‘জীবনে কিছু পেতে গেলে কিছু ছাড়তে হবে।’ তাঁর এই ফলাফলের জন্য তাঁর বাবা-মা, দিদি এবং স্কুলকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন সৃজনী।