ক্লাস এইট থেকেই স্বপ্ন সাইকোলজি নিয়ে পড়ার। এবার সাইকোলজি পড়তে বিদেশে যাওয়ার ইচ্ছে তাঁর। নিউ গড়িয়ার বাসিন্দা মান্যার বাড়িতে রয়েছে মা। বাবা ও বোন আপাতত দিল্লিতে রয়েছেন। রবিবার রেজাল্ট বের হওয়ার পর থেকে আবেগ আর ধরে রাখতে পারছে না গোটা পরিবার। মুহূর্তের মধ্যে গোটা জীবনটাই যেন পাল্টে গিয়েছে মান্যার। তাঁর কথায়, ‘রেজাল্টের পর থেকে বন্ধুরা এসেছে বাড়িতে। কিন্তু আমি টপার, বসে বসে ইন্টারভিউ দিচ্ছি। অন্যরমক লাগছে’।
advertisement
আরও পড়ুন: আইসিএসই-আইএসসি পরীক্ষায় বাংলার জয়জয়কার, দুরন্ত পারফরম্যান্স কলকাতা-সহ জেলার
মান্যার স্কুলের প্রিন্সিপাল সীমা সাপ্রুও ছাত্রীর সাফল্যে খুব খুশি। কীভাবে পরীক্ষার প্রস্তুতি নিয়েছিলেন মান্যা? তিনি জানান, ‘ভাবতেই পারিনি এত ভাল হবে। তবে স্কুল খুব সাহায্য করেছে। কোভিডের পর বাড়তি ক্লাস ও টিউশন আমাকে সাহায্য করেছে’। একই সঙ্গে মান্যা বলেন, ‘আমি সারা বছর পড়ি না। আমি ওইরকম ছাত্রী নয়। পরীক্ষার আগে সারারাত জেগে পড়েছি।’
আরও পড়ুন: ICSE ও ISC-র ফলাফল প্রকাশিত, এক ক্লিকে দেখে নিন রেজাল্ট
পড়াশোনার পাশাপাশি, গল্পের বই, লেখালিখি, গান, সিনেমা দেখার শখ মান্যার। ভাল লাগে দীপিকা পাড়ুকোনকে। এমন অসাধারণ রেজাল্টের পর এবার একটু কদিন বিশ্রাম। রবিবার সারাদিন বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেই কেটেছে। তবে বন্ধুদের সঙ্গে তার মাঝেই চলেছে খানিক আড্ডা। কদিন পরই সাইকোলজির পড়াশোনা শুরু করবেন শীর্ষ স্থানীয়া। মান্যা ও শুভমের সঙ্গে ৩৯৮ নম্বর পেয়ে রাজ্যে দ্বিতীয় হয়েছেন ছ’জন। ৪০০-তে ৩৯৭ নম্বর পেয়ে রাজ্যে তৃতীয় হয়েছেন ১০ জন।
সাহ্নিক ঘোষ