প্রসঙ্গত ভারতবর্ষ স্বাধীনতা লাভের আগে থেকেই ১৯৪৬ সাল থেকেই ভারতবর্ষে উত্তর, দক্ষিণ, পূর্ব এবং পশ্চিমে এলাকায় প্রযুক্তিবিদ্যার শিক্ষাদানের জন্য বিশেষ প্রতিষ্ঠান তৈরি করা হয়। এই সরকারি কমিটি ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজির মতো ভারতেও উচ্চতর কারিগরি প্রতিষ্ঠান স্থাপনের সুপারিশ করে। সেই মতো বিভিন্ন জায়গায় প্রতিষ্ঠান গড়ার জন্য পর্যবেক্ষণ করা হলেও, ১৯৫১ সালে আগস্টে খড়গপুর শহরে হিজলি বন্দিনিবাস থেকে প্রথম শুরু হয় আইআইটি খড়্গপুরের পথ চলা। মাত্র তিনটি বিভাগ দিয়ে শুরু হয় ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি, খড়্গপুরের প্রথম দিন। এখন বর্তমানে ২১ টি ডিপার্টমেন্ট, একাধিক টেকনোলজি স্কুল, সেন্টার ফর অ্যাকাডেমি অব এক্সেলেন্স-সহ একাধিক প্রতিষ্ঠান রয়েছে আইআইটি-তে।
advertisement
আইআইটি প্রতিষ্ঠার পর মাত্র ৪২ জন অধ্যাপক অধ্যাপিকা দিয়ে শুরু হয় পঠন পাঠন। শুধু তাই নয় সিভিল, ইলেকট্রিক্যাল এবং মেকানিক্যাল বিভাগে ২২৪ জন ছাত্র-ছাত্রী দিয়ে শুরু হয় আইআইটি খড়গপুর। তবে বর্তমানে সেই সংখ্যা ছাড়িয়েছে ১৭ হাজারেরও বেশি। অন্যদিকে মাত্র ৪২ জন অধ্যাপক অধ্যাপিকার জায়গায় এখন ৮০০ জনেরও বেশি অধ্যাপক অধাপিকা শিক্ষাদান করেন। আগামী ২০২৫ সাল থেকেই আইআইটি খড়্গপুরের শুরু হবে ৭৫ তম বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠান।
আরও পড়ুন : টিফিনের পয়সা বাঁচিয়ে দ্বাদশ শ্রেণীর এই মেধাবী পড়ুয়া রাস্তায় যা যা করে…জানলে চমকে যাবেন
সারা পৃথিবীর একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় সম্মানজনক ক্ষেত্রে নাম রয়েছে ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি খড়্গপুরের। আইআইটি খড়গপুর থেকেই নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করেছেন একাধিক কৃতী ছাত্রছাত্রী। নিজেদের প্রতিষ্ঠা শুধু নয়, আইআইটি খড়গপুর থেকে শিক্ষা নিয়ে নিজেরাই আজ হয়েছেন চাকরিদাতা। সুন্দর পিচাই-এর মত কৃতীকে তৈরি করেছে এই আইআইটি। স্বাভাবিকভাবে ভারতবর্ষের এই প্রাচীনতম প্রযুক্তিবিদ্যার প্রতিষ্ঠান মাথা উঁচু করে সগর্বে ৭৫ বর্ষে পা দিতে চলেছে। সারা ভারতবর্ষ নয়, সারা পৃথিবীর কাছে এক অন্যতম প্রতিষ্ঠান আইআইটি খড়্গপুর।