গতবছরও করোনা পরিস্থিতিতে ক্লাস নেওয়া হয়েছিল টেলিভিশন মারফত। বিশেষত নবম ও দশম শ্রেণিকে প্রাথমিকভাবে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছিল। প্রথমদিকে দশম শ্রেণী অর্থাৎ মাধ্যমিকের ক্লাস করানো হয়েছিল। উচ্চমাধ্যমিকের ক্লাস করানো হয়েছিল টেলিভিশন মারফত। লক্ষ্য ছিল যাতে মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিক পড়ুয়াদের সিলেবাস কিছুটা এগোনো যায়। তবে শুধু মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকে ছাত্রছাত্রীদেরই নয়, পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত ও ছাত্র-ছাত্রীদের ক্লাস নেওয়া হয়েছিল টেলিভিশন মারফত। চার মাসের ও বেশি সময় সীমা ধরে এই ক্লাস চলে। গত বছরের পর ফের এ বছরও ঠিক একই ফর্মুলাতে ক্লাস নিতে চাইছে রাজ্য। যদিও মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিকের পড়ুয়াদের কথা ভেবেই ক্লাস নেওয়া হবে নাকি অন্যান্য শ্রেণীর ক্লাস নেওয়া হবে সে বিষয়ে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।
advertisement
প্রসঙ্গত, ২০২০-তে বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের স্টুডিওতে এনে ক্লাস করানো হয়েছিল। যদিও এ বছর সে অর্থে দশম শ্রেণির ক্লাস হয়নি। অনলাইনে ক্লাস করার কথা বলা হলেও অনেকাংশে তা হয়নি বলে জানা গিয়েছে। ইতিমধ্যেই একাদশ শ্রেণির সব পড়ুয়াকে দ্বাদশ শ্রেণিতে তুলে দেওয়ার নির্দেশিকা জারি করেছে উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। সেক্ষেত্রে মনে করা হচ্ছে জুলাই মাস থেকেই টেলিভিশন ও রেডিওতে ক্লাস নিতে পারে রাজ্য স্কুল শিক্ষা দফতর। যদিও এই বিষয় নিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
সোমরাজ বন্দ্যোপাধ্যায়