রুমানা সুলতানার বাড়ি কান্দি পৌরসভার অন্তর্গত ১১নং ওয়ার্ডের শিবরামবাটি এলাকায়। বাবা রবিউল আলম ভরতপুর গয়েশাবাদ অচলাবিদ্যাপীঠ প্রধান শিক্ষক। মা সুলতানা পারভিন ইংরেজি শিক্ষিকা ভরতপুর গয়েশাবাদ অচলাবিদ্যাপীঠের। ২০১৯ সালে মাধ্যমিকে রাজ্য পঞ্চম হয়েছিলেন ৬৮৭ নং পেয়েছিলেন, বিজ্ঞান বিভাগ নিয়ে পাঠরত, উচ্চ মাধ্যমিকে এই সাফল্য পর ভবিষ্যতে বিজ্ঞানী হওয়ার ইচ্ছা আছে।
রুমানা সুলতানা জানান, দিনে ৫-৬ ঘন্টা পড়াশুনো করত, কোভিড পরিস্থিতিতে উচ্চ মাধ্যমিক পরিক্ষা না হওয়ার কারনে হতাশা ছিল কিন্তু ভাল ফল হবে এই আশা ছিল তার। মাধ্যমিকে পঞ্চম হওয়ার পরেই স্বপ্ন ছিল তার আরও ভাল ফল হবে ফলে উচ্চ মাধ্যমিকে প্রথম হলেন বিগত দিনের মুল্যায়ন পরিপ্রেক্ষিতে।
advertisement
বাবা রবিউল আলম জানান, আমার মেয়ের সাফল্য দেখে আমি খুশি তবে ভবিষ্যতে বিজ্ঞানী হবে এই আশা রাখি। মা সুলতানা পারভিন ইংরেজি শিক্ষিকা তিনি জানান, আমি আমার মেয়ের এই ফলে খুবই খুশি। আজকে আনন্দিত তবে পরিক্ষা হলে বোধহয় ভাল হত। তবে প্রথম হয়েছে আমি গর্বিত।
দাদু কান্দি কলেজের প্রফেসর মহম্মদ সৈয়দ ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট ও গোল্ড মেডেলিস্ট ছিলেন । পশ্চিমবঙ্গে ১৯৬২ সালে দ্বিতীয় হয়েছিলেন ফিলোজপি অর্নাসে ফলে দাদুর ইচ্ছা পুরন করতেই তার এই সাফল্য। রুমানা সুলতানার দিদা সালেহার বানু জানান "আমার স্বামীর ইচ্ছা ছিল আজকে আমি খুশি ও আনন্দিত। আমার স্বামীর ইচ্ছা পূরণ করেছে আমাদের নাতনি।" রুমানা সুলতানা সাফল্য খুশি কান্দির বাসিন্দারাও।