চলতি মাসের ৯ জুলাই নিয়োগ প্রক্রিয়ার ওপর থেকে স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে নিয়োগ প্রক্রিয়া এগোনোর সবুজ সঙ্কেত দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। নির্দেশ ছিল,নিয়োগে ইন্টারভিউ তালিকার অনিয়ম সচিব পর্যায়ের আধিকারিকদের দিয়ে ১০ সপ্তাহের মধ্যে নিষ্পত্তি করবে কমিশন। সোমবারই উচ্চ প্রাথমিক নিয়োগ মামলার এই নির্দেশের কিছুটা বদল চাইল কমিশন। বলা ভালো বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশের কিছু পরিবর্তন চাইল কমিশন।
advertisement
হাইকোর্টে করা আবেদনে স্কুল সার্ভিস কমিশন জানিয়েছে অপ্রতুল 'সচিব' পদমর্যাদার আধিকারিক। এই মুহূর্তে কমিশনে একজন সচিব ও ডেপুটি সেক্রেটারি আধিকারিক ৩ জন। কমিশনের সচিব রাজ্যের শিক্ষা দফতরের যুগ্ম-সচিব পদমর্যাদার সমতূল্য। রাজ্যের শিক্ষা দফতরে সর্বমোট ৪ জন সচিব পদমর্যাদার আধিকারিক রয়েছেন। কমিশনে জমা পড়া সব অভিযোগের নিষ্পত্তি করতে নূন্যতম ১০ জন আধিকারিকের প্রয়োজন। সহকারি ডিরেক্টর পদমর্যাদার আধিকারিকদের দিয়ে উচ্চ প্রাথমিক নিয়োগ অভিযোগের নিষ্পত্তি করা যেতে পারে। সেক্ষেত্রে এই পদমর্যাদার আধিকারিক পাওয়া সমস্যা হবে না। সোমবার হাইকোর্টে তাই আদালতের নির্দেশের 'মডিফিকেশন'-এর আবেদন করল স্কুল সার্ভিস কমিশন।
১৪৩৩৯ শূন্যপদের নিয়োগের ইন্টারভিউ প্রক্রিয়া সবে শুরু হয়েছে। পাশাপাশি জুলাইয়ের শেষ সপ্তাহ পর্যন্ত ইন্টারভিউ তালিকা নিয়ে অভিযোগ জানানো যাবে কমিশনে। ই-মেইল, স্পিডপোস্ট ও হাতেহাতে অভিযোগ জানানোর ব্যবস্থা করেছে কমিশন। এর আগে উচ্চ প্রাথমিক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অনিয়মের অভিযোগ ওঠায় তা বাতিল করে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি মৌসুমি ভট্টাচার্য। নতুন প্রক্রিয়া শুরু হয় ২১ জুন।
তবে ইন্টারভিউ তালিকা প্রকাশ হতেই আবারও অনিয়মের অভিযোগে মামলা হয় হাইকোর্টে। মামলাকারী অভিজিৎ ঘোষ-এর আইনজীবী ফিরদৌস শামিম জানান, "ডিভিশন বেঞ্চে আপিল মামলার শুনানি মঙ্গলবার। সিঙ্গেল বেঞ্চে কমিশনের এমন আবেদনের খুব বেশি গ্রহণযোগ্যতা নেই। আমরা ডিভিশন বেঞ্চের দিকে তাকিয়ে।" মঙ্গলবার বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বেঞ্চে 'বদল আবেদনের' দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারে কমিশন।