বিশেষজ্ঞ রজনীশ কুমার পান্ডে লোকাল 18-কে বলেন যে, একটি প্রবন্ধ তিনটি ভাগে বিভক্ত: ভূমিকা, মূল অংশ এবং উপসংহার। প্রবন্ধ শুরু করার আগে প্রদত্ত বিষয়ের জন্য একটি রূপরেখা প্রস্তুত করা ভাল। এটি নিজেদের চিন্তাভাবনাগুলিকে সংগঠিত করতে এবং যুক্তিকে স্পষ্ট এবং যৌক্তিক করতে সহায়তা করবে। এই পদ্ধতিটি সময় বাঁচাতেও সাহায্য করে।
আরও পড়ুনঃ ট্রেনের মধ্যে হঠাৎ কী হল! যাদবপুরের পড়ুয়ার দেহ মিলল নদীতে! কামরাও থেকেও অন্ধকারে ছাত্রের মা
advertisement
ভূমিকাটি এইভাবে লিখতে হবে
রজনীশ আরও ব্যাখ্যা করেন যে, প্রবন্ধের প্রথম অনুচ্ছেদ হল ভূমিকা, যা প্রবন্ধের উদ্দেশ্য বর্ণনা করে। ভূমিকাটি পরীক্ষকের মনোযোগ আকর্ষণ করবে এবং প্রবন্ধের কেন্দ্রবিন্দু তুলে ধরবে। একটি সাম্প্রতিক ঘটনা, একটি সংলাপ, একটি গল্প, একটি উদ্ধৃতি, অথবা প্রদত্ত বিষয়ের একটি সহজ সারাংশ দিয়ে শুরু করা যেতে পারে।
মূল অনুচ্ছেদ লেখার সঠিক পদ্ধতি:
প্রবন্ধের মূল অনুচ্ছেদগুলি লিখতে হবে বা ভূমিকায় যা লেখা হচ্ছে তার প্রমাণ এবং ব্যাখ্যা প্রদান করতে হবে। মূল অনুচ্ছেদে নির্বাচিত বিষয় ব্যাখ্যা, বর্ণনা এবং যুক্তি দেওয়া যেতে পারে। বিষয় সম্পর্কে নিজেদের চিন্তাভাবনা প্রকাশ করে অনুচ্ছেদ লেখা চালিয়ে যেতে হবে। বিষয়ের সবচেয়ে শক্তিশালী পয়েন্ট বা চূড়ান্ত অনুচ্ছেদে নিজস্ব মতামত লিখতে হবে।
উপসংহারটি আকর্ষণীয় হওয়া উচিত
প্রবন্ধের এই শেষ অংশটিতে বিষয়ের সমাপ্তি ঘটানো উচিত। প্রবন্ধগুলি তিনটি ভিন্ন বিষয়ের উপর ভিত্তি করে তৈরি। এই ক্ষেত্রে, উপসংহারে সমস্ত চিন্তাভাবনা সংক্ষিপ্ত করতে হবে এবং প্রদত্ত বিষয়ের উপর একটি চূড়ান্ত দৃষ্টিভঙ্গি প্রদান করতে হবে। প্রবন্ধের এই শেষ অংশটি, প্রবন্ধের শুরুর মতোই শক্তিশালী হওয়া উচিত।
স্পষ্ট এবং সহজ ভাষা ব্যবহার
বিশেষজ্ঞ আরও বলেছেন যে, প্রবন্ধে নিজেদের ধারণাগুলি পরীক্ষকের কাছে স্পষ্ট এবং বোধগম্য হওয়া উচিত। এটি করার জন্য সহজ ভাষা ব্যবহার করতে হবে। ব্যাকরণগত ত্রুটি এড়িয়ে চলতে হবে, বাক্যে সরলতা বজায় রাখতে হবে। আর প্রদত্ত শব্দসীমার মধ্যেই ভাল তথ্য সহ রচনাটি লেখার চেষ্টা করা উচিত।
